• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিষেক

রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মান্ধতায় পাকিস্তানের মতো অন্ধকারে চলে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করলেন এপার বাংলার তৃণমূল নেতারা। রাজ্যের শাসকদল এই ঘটনাকে খুবই দুৰ্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি, তাঁরা এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকার যে অবস্থান নেবে, তৃণমূল সেটাকেই মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে নাক গলাতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল। যদিও বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

প্রসঙ্গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয় দেশ। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয়। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেদেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার সঙ্গে সঙ্গে আচমকা সেদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ধর্মীয় হিংসাও প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও মন্ত্রী– এমনকি বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা শুরু হয়। সনাতনীদের ওপর সেই হামলার প্রতিবাদ করে সোমবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ইসকনের সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। যার জেরে ওপার বাংলার পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে এপার বাংলাতেও। চিন্ময় প্রভু গ্রেপ্তার হওয়ায় কলকাতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও এবিষয়ে সরব হয়েছেন।

Advertisement

তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কী অবস্থান নিয়েছে। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এছাড়া ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়ের মতো নেতারাও এবিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাংসদ সৌগত রায় কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘এটা রাজ্যের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে।’

Advertisement

পাশাপাশি, রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মান্ধতায় পাকিস্তানের মতো অন্ধকারে চলে যেতে হবে বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। বাংলাদেশে যেটা হয়েছে, সেটা কাম্য নয়। বাংলাদেশ বাংলার একটা অংশ। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে থাকি। বাংলাদেশে এর আগে যে সরকার ছিল, তারা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে ছিল বলে পরিস্থিতি অনেক ভাল ছিল।’

Advertisement