• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

জুনিয়র ডাক্তারদের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৭০ লক্ষ! উৎস নিয়ে প্রশ্ন কুণালের

প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের প্রশ্ন, টাকা দিচ্ছে কারা? কারা চায় আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতাল অস্থির থাকুক? তাতে কাদের লাভ?

জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফাইল চিত্র

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। শুধু তাই নয়, সংস্থার তরফে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। আর সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের প্রশ্ন, টাকা দিচ্ছে কারা? কারা চায় আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতাল অস্থির থাকুক? তাতে কাদের লাভ? সরকারি ঠিকানায় সরকারের অনুমতি ছাড়া নথিভুক্ত এনজিও থাকে কী করে? এটা ছাড়াও আরও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে বলে খবর। সেগুলিও খতিয়ে দেখা দরকার। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নথিভুক্তি করিয়েছে। বিনামূল্যে রক্তদান, স্বাস্থ্য, চক্ষুশিবির আয়োজনের উদ্দেশ্যেই এই নথিভুক্তিকরণ। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ছিল – ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হিসেবে তিনজনের নাম রয়েছে – অনিকেত মাহাতো, রাজদীপ সাউ, অর্ণব মুখোপাধ্যায়। ডিড কিঞ্জল নন্দর নামে।

Advertisement

একই সঙ্গে ফের একবার অনশন তুলে বার্তা দেন কুণাল ঘোষ। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের বার্তা, জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিন। তাঁদের সুস্থতা কামনা করি। এখন অনশনের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। শরীরে চাপ নেবেন না। প্রকৃত শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মানুন। শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না। বাম, অতি বামদের ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক মানসিকতা দূরে রাখুন।

একই সঙ্গে ধর্মঘট নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, আর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের মত জনবিরোধী ভাবনা ভাববেন না। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। আন্দোলনকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন।

একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, এই সরকার জ্যোতি বসুর সরকারের মত ডাক্তারদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তোলেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের মঞ্চে গিয়েছেন, বাড়িতে ডেকেছেন, বারবার বৈঠক হয়েছে, কাজ চলছে, সিবিআই-সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। আপনারা থ্রেট কালচারের অংশ হয়ে উঠে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে রাজনীতি করবেন না।

Advertisement