গঙ্গা নিয়ে সেচ দফতরের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ সারা ভারত হিন্দুসভা

সেচ দফতরের গঙ্গা অববাহিকায় নানা প্রকল্প রূপায়ণের তৎপরতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে বিক্ষোভে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়ে সারা ভারত হিন্দুসভা প্রচারপত্র বিলি শুরু করেছে।

Written by SNS New Delhi | June 7, 2019 2:10 pm

গঙ্গা (Photo: PTI)

সেচ দফতরের গঙ্গা অববাহিকায় নানা প্রকল্প রূপায়ণের তৎপরতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে বিক্ষোভে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়ে সারা ভারত হিন্দুসভা প্রচারপত্র বিলি শুরু করেছে।

প্রচারপত্রে হিন্দুসভা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে সেচ দফতরের গঙ্গা অববাহিকায় নানা প্রকল্প রূপায়ণের কর্মসূচির ফলে হরিদ্বার এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানের ধর্মপিপাসু ব্যক্তিদের অবগাহনের ঘাটগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

সত্তর বছর আগে গ্রাবি কটলে গঙ্গা ক্যানেল প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করেন। ১৯১৪ সালে সংযুক্ত প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হরিদ্বারে এক সম্মেলনের আয়ােজন করেন সেখানে নতুন প্রকল্প নিয়ে কিছু আপত্তি উত্থাপিত হলেও সামগ্রিকভাবে সন্তোষজনকভাবেই সর্বসম্মতিতে নতুন প্রকল্পের রূপায়ণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে আপত্তি বা সমস্যা এখনও অর্থাৎ দু’বছর পরও একেবারে দূর হয়নি। ফলে ১৯১৬ সালে সারা ভারত হিন্দুসভা নতুন প্রকল্প নিয়ে তাদের আপত্তির কথা আবারও সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে স্মারকলিপি দাখিল করেছে। তবে বিষয়টি যেভাবে এবং যে বাস্তবসম্মত উপায়ে সমাধানের চেষ্টা করার। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে সমস্যা সহজেই দূর করা যাবে বলে সকল পক্ষেরই অভিমতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

মনে রাখতে হবে একভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পরই গঙ্গা অববাহিকা থেকে সেচের জন্য ক্যানাল তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু এবং পরবর্তীতে এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থার সৃষ্টিতে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাইবে না বলেই সকল পক্ষের অভিমত।

তবে হিন্দুসভার পক্ষ থেকে হরিদ্বার ও অন্যত্র পবিত্র গঙ্গার অবাধ প্রবহমানতার বিষয়ে সবথেকে বেশি গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে। পবিত্র গঙ্গার অবাধ প্রবহমানতাই হিন্দু সভার পক্ষ থেকে প্রাথমিক শর্ত হিসেবে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।