অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাক্সিনে অসুস্থ হননি ওই মহিলা, টিকায় কোনও দোষ নেই দাবি অক্সফোর্ডের

অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার ডােজেই যে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এমন প্রমাণ মেলেনি। টিকাতে কোনও গলদ নেই।

Written by SNS London | September 18, 2020 5:43 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

অ্যাস্ট্রোজেনেকা’র টিকার ডােজেই যে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এমন প্রমাণ মেলেনি। টিকাতে কোনও গলদ নেই। মহিলার শরীরে যে রােগ দেখা গিয়েছিল তার অন্য কারণ থাকতে পারে। এমনটাই দাবি করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। 

অ্যাস্ট্রোজেনেকা’র টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় হইচই শুরু হয়ে যায় নানা মহলে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার ওপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা রেখেছিল বিশ্ববাসী। সেখানে টিকার ডােজের এমন গলদ সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছিল চিন্তা। তার ওপর জানা যায় টিকার ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরেই এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবকের অজানা রােগ দেখা দিয়েছে। উদ্বেগ আরও বাড়ে। সুরক্ষার জন্য টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়ােগ বন্ধ করে দিতে হয় অক্সফোর্ডকে।

কী ধরনের রােগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা সেটা প্রথমে জানায়নি ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম। পরে তারা বিবৃতি দিয়ে জানায় স্নায়ুর রােগ ধরা পড়েছে ওই মহিলার। সম্ভবত ট্রান্সভার্স মায়েলেটিস রােগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শিরদাঁড়া ও পেশিতে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল মহিলার।

অক্সফোর্ড ও জেন্নার ইউনিভার্সিটির ভাইরােলজিস্টরা বলেছেন, ট্রান্সভার্স মায়ােলেটিস রােগে শিরদাঁড়ার দু’পাশে যন্ত্রণা হয়। স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুতে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। অনেক সময় এই রােগে স্নায়ু আর বার্তা আদানপ্রদান করতে পারে না। ফলে স্পর্শের অনুভূতি চলে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পেশির ব্যথা, পেশির খিচুনি, ব্লাডার এবং বাওয়েল সিনড্রোমও দেখা দেয় রােগীর। এই ধরনের স্নায়মিবক রােগ টিকার ডােজের ফলে হওয়া সম্ভব নয়।

অক্সফোর্ডের দাবি, মহিলার সম্ভবত আগে থেকেই এই ধরনের কোনও রােগ ছিল। যার প্রতিক্রিয়ায় এমনটা হয়েছে। অথবা অন্য কোনও কারণ রয়েছে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে আমেরিকায় ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল আগে।

মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটুট অব হেল্‌থ’এর ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কোলিন বলেছিলেন, টিকার ডােজে একজনের স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরে অ্যাস্ট্রোজেনিকার টিকায় এমন আরেকটি ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই টিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে যায়।

অ্যাস্ট্রোজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বলেছেন- ৩০ হাজার জনকে ইন্টারমাস্কুলার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। একজনের শরীরেও কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যদি টিকার ডােজেই এমনটা হত, তাহলে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়তেন। বা তাঁদের শরীরেও জটিল স্নায়বিক রােগ দেখা যেত। তবে এটাও দেখা শরীরে কোনও রােগ থাকলে টিকার প্রভাবে কোনও ইনফ্লেমেশন বা প্রদাস তৈরি হচ্ছে কিনা।