প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে গোপনে মদতের অভিযোগ উঠল মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা ইউএসএইডের বিরুদ্ধে। শুক্রবার আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্সের কমিটির বৈঠকে অভিযোগ তোলা হয় ইউএসএইড এবং ফেডেরাল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়, বাইডেন জমানায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার সময় থেকেই প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে গোপনে সমর্থন করছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা ইউএসএইড! এমনকি বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে গত দেড় বছরে হামাসকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি (ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা) অর্থ পাঠানোর দাবি করা হয়।
এদিন নিম্নকক্ষে আরও দাবি করা হয়েছে, শুধু হামাসই নয়, ভারতবিরোধী পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা ফালাহ-এ-ইনসানিয়ত (এফআইএফ) নামে সন্ত্রাসাবাদী সংগঠনকেও পরোক্ষে মদত দিয়েছে ইউএসএআইডি। ভারতে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার নেপথ্যে এই লস্করেরই হাত ছিল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬৬ মানুষের, আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন।
Advertisement
তবে এই প্রথম নয়, অতীতেও বিভিন্ন সময়ে ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও গোপনে এই সংগঠনগুলিকে সহায়তা করে গিয়েছে ইউএসএইড। মিশিগানের একটি দাতব্য সংস্থা ‘হেল্পিং হ্যান্ড ফর রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (এইচএইচআরডি)-র মাধ্যমে এফআইএফ-এর কাছে ওই অর্থসাহায্য পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত ও আমেরিকা— দুই দেশেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়া এবং এফআইএফ-কে। এর মধ্যে প্রথম দু’টি গোষ্ঠী জম্মু ও কাশ্মীর-সহ ভারতের নানা প্রান্তে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এই গোষ্ঠীগুলিকে অর্থসাহায্য করেছে ইউএসএইড। নানা মহলের দাবি, এইচএইচআরডি-র সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসাবাদী সংগঠনগুলির যোগসূত্র রয়েছে।
Advertisement
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। অনাহার, অপুষ্টি ও অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া— সমস্ত কর্মসূচির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
Advertisement



