• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জর্জিয়ার হুন্ডাই কারখানায় হানা, ৪৭৫ অবৈধ অভিবাসী কর্মী গ্রেপ্তার

সাভান্নাহ শহর থেকে প্রায় ২৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত এই কারখানায় প্রায় ৫০০ জন মার্কিন কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন।

আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্ব জর্জিয়ার এলাবেল এলাকায় অবস্থিত হুন্ডাইয়ের একটি কারখানায় আচমকা অভিবাসন বিরোধী অভিযান চালাল মার্কিন তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিশাল একটি দল। অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ৪৭৫ জন অভিবাসী শ্রমিক, যাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। মনে করা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসন রোধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই প্রশাসন এই পদক্ষেপ করেছে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান চলে হুন্ডাইয়ের ব্যাটারি নির্মাণ কারখানাটিতে। সাভান্নাহ শহর থেকে প্রায় ২৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত এই কারখানায় প্রায় ৫০০ জন মার্কিন আধিকারিক অভিযান চালান। কর্মীদের প্রথমে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড় করানো হয়, তারপর একে একে পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ ও সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর যাচাই করেন আধিকারিকেরা। যাঁদের পরিচয় যাচাইয়ে অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

ধৃতদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও মেক্সিকোর ২৩ জন নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও থেকে গিয়েছিলেন, আবার কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ফোকস্টন অভিবাসী আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যা এলাবেল এলাকা থেকে প্রায় ১০০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এই অভিযানে অংশ নেয় মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন, অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তর, এফবিআই, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী, জর্জিয়ার নাগরিক নিরাপত্তা দপ্তর, শ্রম দপ্তর সহ একাধিক সংস্থা।

Advertisement

ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রেসিডেন্ট লিজে মিয়ং জরুরি বৈঠকে বসে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। ওয়াশিংটনে কূটনীতিক পাঠানো ছাড়াও সোলের মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রী চো হিউন জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি নিজেই আমেরিকায় গিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচনার ফলেই পরবর্তীতে মার্কিন প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, অভিবাসীদের গণহারে গ্রেপ্তার এবং মেক্সিকো ও কানাডার উপর চাপ প্রয়োগ, সব মিলিয়ে তার প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে এক কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। জর্জিয়ার এই হুন্ডাই কারখানায় হানা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সবচেয়ে বড় অভিযানগুলির একটি।

Advertisement