• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাশিয়ার বৃহত্তম তেল বন্দরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

প্রিমোর্স্কে অগ্নিকাণ্ড

আবারও রাশিয়ার অন্দরে ঢুকে হামলা চালাল ইউক্রেন। শুক্রবার ভোরে লক্ষ্যবস্তু হল লেনিনগ্রাদ অঞ্চলের প্রিমোর্স্ক—বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল বন্দর। এখানকার আঞ্চলিক গভর্নর আলেকজান্ডার দ্রজদেনকো জানিয়েছেন, ড্রোন আক্রমণে দু’টি তৈলবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্দরের একটি পাম্পিং স্টেশনে আগুন ধরে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালান।

রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, ইউক্রেনের ড্রোনগুলি ‘লো-অল্টিচিউড’ ফ্লাইটে বন্দরে ঢুকে পড়েছিল। প্রথম বিস্ফোরণের পরেই দ্বিতীয় ধাক্কায় তেলবাহী জাহাজে আগুন ধরে যায়। যদিও এই হামলায় এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে কর্তৃপক্ষের মতে, এই হামলা রাশিয়ার জ্বালানি পরিকাঠামোয় বড় ধাক্কা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রিমোর্স্ক বন্দর থেকে পশ্চিম ইউরোপ-সহ বহু দেশে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করা হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই হামলার মাধ্যমে ইউক্রেন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— কেবল সীমান্তবর্তী অঞ্চল নয়, বরং রাশিয়ার কৌশলগত জ্বালানি পরিকাঠামোও আর সুরক্ষিত নয়। এর আগে চলতি বছরের ১ জুন রাশিয়ার পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’-এর মাধ্যমে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। সেই অভিযানে কৃত্রিম মেধা-চালিত ড্রোন ব্যবহার করে অন্তত ৪০টি বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল কিভ। ওই ঘটনার পর এ বারই রুশ ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা হল।

Advertisement

রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রিমোর্স্কে হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনগুলির বেশিরভাগকেই মাটিতে নামানো হয়েছে। তবে কয়েকটি ড্রোন এড়িয়ে গিয়ে জাহাজ ও বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটায়। মস্কো জানিয়েছে, পশ্চিমি প্রযুক্তির সহায়তায় ইউক্রেন এই আক্রমণ চালিয়েছে।

পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, প্রিমোর্স্কে আঘাত হানা ড্রোনগুলিতেও এআই-ভিত্তিক টার্গেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কৌশল ভবিষ্যতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আরও বিধ্বংসী হামলার পথ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।

তবে ইউক্রেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেন, ‘রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্র ভেঙে দেওয়ার জন্য আমাদের লড়াই সীমান্তের বাইরেও চলবে।’

Advertisement