ভারত সফরের আগে মার্কিন বিদেশ সচিবের মুখে ‘মােদি হ্যায় তাে মুমকিন হ্যায়’

মােদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ভারত সফরে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।

Written by SNS Washington | June 14, 2019 7:01 pm

মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও (Photo: Xinhua/Liu Jie/IANS)

মােদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ভারত সফরে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। ভারত সফরের আগে তাঁর মুখে শােনা গেল বিজেপির জনপ্ৰিয় স্লোগান, ‘মােদি হ্যায় তাে মুমনি হ্যায়’।

বুধবার ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের বিশেষ সম্মেলনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি তাঁর ক্যাম্পেনে বলেছেন, মােদি হ্যায় তাে মুমকিন হায় অর্থাৎ মােদির পক্ষে সবই সম্ভব। তাই ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কী কী সম্ভাবনা আছে, সেটাই আমাদের নজরে থাকবে।

ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক যাতে ত্বরান্বিত হয়, তার জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক পম্পেও। একই সঙ্গে ভারতের নয়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করার জন্যও তিনি বিশেষ উৎসাহী বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মানুষের ভালোর জন্য একাধিক ক্ষেত্রে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগ নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও সফর করলেন ট্রাম্পর এই সহযােগী।

জি-২০ সম্মেলনের ঠিক আগেই ভাবতে আসিছেন মার্কিন বিদেশসচিব। ২৪ জুন তিনি আমেরিকা থেকে রওনা হবেন। এই সফরকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন তিনি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ট্রাম্পের যে নীতি, সেটা সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই সফরের মূল লক্ষ্য।

আর ভারতের কাছেই মার্কিন বিদেশ সচিবের এই সফরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর ট্রাম্পের একাধিক নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব পড়েছে ভারতে। ইরান থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি প্রভাব পড়েছে এদেশে। রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। আর রাশিয়া থেকে বাবরই অস্ত্র আমদানি করে থাকে ভারত। তাই এই সফরে যে বৈঠক হবে তাতে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলবে দুই দেশ। এই সামিটে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিদেশ সচিব। সেখানেও আসন্ন ভারত সফর নিয়ে কথা হতে পারে।

অর্থনৈতিক লেনদেন এই সফরের মুল আলােচ্য বিষয় হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এরই সঙ্গে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠুক, সেই আশাও করছে ওয়াশিংটন। জি-২০ সম্মেলনে যােগ দেওয়ার কথা রয়েছে মাইক পম্পেও। জাপানের ওসাকায় জুন মাসের ২৮-২৯ তারিখে এই সম্মেলন হবে।

এই প্রথমবার জাপানে বসছে জি-২০ সম্মেলনের আসর। এই সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসতে পারেন পম্পেও। উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের। একযােগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উওর কোরিয়াকে এই ইস্যুতে ফের অনুরােধ জানাতে পারে। এই সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন পম্পেও।