মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ফের গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি জাতীয় নিরাপত্তার কারণে প্রয়োজন। তার দাবি, গ্রিনল্যান্ড উপকূলে রাশিয়া ও চিনের জাহাজ চলাচল করছে, যা আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে।
এরপরই ট্রাম্প লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিকে আর্কটিক অঞ্চলের (গ্রিনল্যান্ডের অংশ) বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছেন। তবে এই ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনস-ফ্রেডেরিক নিলসেন যৌথভাবে বলেছেন, ‘গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডবাসীর। আমেরিকা এটি দখল করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে আপনার আশঙ্কা অযৌক্তিক।’
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৮৬৭ সাল থেকে আমেরিকা একাধিকবার গ্রিনল্যান্ড কেনার চেষ্টা করেছিল। যদিও গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকার অংশ, এটি ডেনমার্কের মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং ইউরোপীয় তহবিলও পায়। ট্রাম্পের আগ্রহের পেছনে প্রধান কারণ স্ট্র্যাটেজিক নিরাপত্তা ও সম্পদ। গ্রিনল্যান্ডে প্রচুর ধাতু ও খনিজ রয়েছে। যা প্রযুক্তি, ইলেকট্রিক গাড়ি এবং প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজন। বিশেষ করে বিরল ধাতু, যা মোবাইল ও অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়।
Advertisement
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের সম্পদের মূল্য হতে পারে ১.১ ট্রিলিয়ন ডলার। এছাড়া, এটি রাশিয়া ও চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব কমানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ট্রাম্প কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য করার হুমকি দিয়েছিলেন। এবার তালিকায় যোগ হয়েছে গ্রিনল্যান্ড ও পানামা।
Advertisement
Advertisement



