• facebook
  • twitter
Thursday, 11 December, 2025

বুধবার থেকে চালু হল ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা, সূচনা করলেন ট্রাম্প

এই ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ কিনতে খরচ হবে ১ মিলিয়ন থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ৯ কোটি টাকা থেকে ১৮ কোটি টাকা

গোল্ড কার্ডের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত নির্দেশনামায় স্বাক্ষরও করেন তিনি। বুধবার থেকে এই ভিসা কার্যকর করল মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কার্ড কিনলেই আমেরিকায় স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। এই ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ কিনতে খরচ হবে ১ মিলিয়ন থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ৯ কোটি টাকা থেকে ১৮ কোটি টাকা!

গোল্ড কার্ড ভিসার সূচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘ এই মুহূর্তটা দারুণ। আমরা গোল্ড কার্ডের সূচনা করলাম। ওয়েবসাইট ৩০ মিনিটের মধ্যে চালু হয়ে যাচ্ছে’। তিনি আরও বলেন, ‘গোল্ড কার্ড’  গ্রিন কার্ড ভিসার মতোই। তবে ‘গোল্ড কার্ডে’ আরও অনেক অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে তার জন্য আবেদনকারীদের গুনতে হবে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি।

Advertisement

এদিন ট্রাম্পের গলায় কিছুটা অনুযোগের সুরও শোনা যায়। এতদিন মেধাবী পড়ুয়ারা ভিসা অনিশ্চয়তার কারণে ভারত, চিন বা ইউরোপে চলে যেতেন বলে জানান তিনি। ট্রাম্পের কথায়, ‘আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের অনেকেই তাদের ক্লাসে সেরা হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে অভিবাসন সংক্রান্ত নানা বাধার সম্মুখীন হয়। কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তাঁদের ভারতে, চিনে কিংবা ফ্রান্সে ফিরে যেতে হয়। এটা খুবই লজ্জাজনক, হাস্যকর। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি।’

Advertisement

‘গোল্ড কার্ডে’ এ বার থেকে আমেরিকায় তাঁদের পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে কোম্পানিগুলো। এ দিন দু’রকমের গোল্ড কার্ড চালু করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। একটি ব্যক্তিগত, আর একটি কর্পোরেট ব্যবহারের জন্য। মার্কিন সংস্থাগুলি ওই কার্ড কিনে অভিবাসী বা বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কোষাগারে লক্ষ লক্ষ টাকা আসবে। সেই টাকা দেশের উন্নতিতে খরচ করা হবে।

তবে এই গোল্ড কার্ড আবেদনের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে কী কী শর্ত মানতে হবে বা কতজন আবেদন করতে পারবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।গোল্ড কার্ডের জন্য আবেদনকারীকে প্রথমে ১৫ হাজার ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৯ টাকা প্রসেসিং ফি বাবদ জমা দিতে হবে। আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দপ্তরে এই টাকা জমা পড়বে। তাই এই টাকা ফেরতযোগ্য নয়। দ্বিতায় ধাপে আবেদনকারীর নথিপত্র যাচাই করা হবে।

যাচাইপ্রক্রিয়ার পর আবেদনকারীকে ১০ লক্ষ ডলার ‘উপহারস্বরূপ’ মার্কিন কোষাগারে জমা করতে হবে। এই টাকা আমেরিকার উপকারের জন্য দেওয়া হচ্ছে বলে ধরা হবে, জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস। ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতিতে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ফি জমা দিতে হতে পারে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু বলা হয়নি।

ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কোম্পানি চাইলে কোনও কর্মীর স্পনসরশিপ বন্ধ করে, ওই টাকাতেই নতুন কাউকে স্পনসর করতে পারবেন। আলাদা করে আর ২০ লক্ষ ডলার দিতে হবে না। তবে এই ভিসায় প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে মেইনটেন্যান্স ফি দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে ৫ শতাংশ ট্রান্সফার ফি।

এর মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইয়ের খরচও রয়েছে।অভিবাসী নীতি, এইচ-১বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ কিনলে গ্রিন কার্ডের চেয়েও বেশি সুবিধা মিলবে বলে দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের। তবে গোল্ড কার্ড নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্রেফ আর্থিক লাভের জন্য এই কার্ড দাবি বিরোধীদের।

 

 

Advertisement