• facebook
  • twitter
Wednesday, 10 December, 2025

এবার ভারতের চালে শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

চালের দামে পতনের দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন কৃষকরা দাবি করেছেন যে, ভারত, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আমদানি, তাদের ফসলের ক্ষতি করছে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

এবার আমেরিকার  আমদানিকৃত কৃষিপণ্য়ের দিকে নজর দিয়েছেন ট্রাম্প। শুল্কের বোঝা চাপাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টতই কৃষি আমদানির উপর নতুন শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যার মধ্যে ভারতীয় চাল এবং কানাডিয়ান সার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ভারতের কৃষিক্ষেত্রে মার্কিন প্রভাব যাতে না পড়ে তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ভারতের এহেন সিদ্ধান্তে থমকে গিয়েছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি। ভারতের কৃষিবাজারকে কুক্ষিগত করতে না পেরে এবার ভারতীয় চালের উপর ফের ‘শুল্কবাণ’ চালানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্কের অঙ্ক স্পষ্ট না করলেও এর নেপথ্যে বিরাট কর্পোরেট ষড়যন্ত্র দেখছে কূটনৈতিক মহল। মার্কিন ইন্ধনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (ডাবলুটিও) ভারত সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে কৃষিজক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানোর জন্য। তবে ভারত সরকার সে উপদেশ কানে তোলেনি। সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ভর্তুকি দরিদ্র কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয়। উন্নত দেশ (আমেরিকা) নিজেরাই কৃষিতে আরও বেশি ভর্তুকি দেয়। তাই ভর্তুকিকে ‘অন্যায্য’ বলা দ্বিমুখী আচরণ। আর এরপরই ভারতের উপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার মার্কিন কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই কৃষকদের বক্তব্য শোনার পর ট্রাম্পের রোষ গিয়ে পড়ে ভারতের উপর। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মার্কিন কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পণ্যের আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য তার অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কানাডা থেকে আসা সার সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন, “প্রয়োজনে, দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে।”
 প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় চালের ডাম্পিং (আমদানি)-এর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। চালের দামে পতনের দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন কৃষকরা দাবি করেছেন যে, ভারত, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আমদানি, তাদের ফসলের ক্ষতি করছে। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তিনি কানাডা থেকে আসা সারের উপর সম্ভাব্য শুল্ক ব্যবস্থারও পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “প্রচুর সার কানাডা থেকে আসে৷ তাই যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা এর উপর খুব চড়া শুল্ক আরোপ করব।”

Advertisement

Advertisement