• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

খাবার না পেয়ে মহিলাকে হত্যা করল তালিবরা

‘খাবার না দেওয়ার অপরাধে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করল তালিবানেরা। মৃত নাজিয়া নিজের তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে আফগানিস্থানে উত্তরের ফারিয়াব প্রদেশে থাকতেন।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

‘খাবার না দেওয়ার অপরাধে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করল তালিবানেরা। মৃত নাজিয়া নিজের তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে আফগানিস্থানে উত্তরের ফারিয়াব প্রদেশে থাকতেন। সিএনএন-এ প্রকাশিত রিপাের্ট অনুযায়ী, তালিবানরা আফগাসিস্থান দখল করার পর থেকেই তাদের বাড়িতে আসতে শুরু করে তালিবরা।

নাজিয়ার মেয়ের কথায়, মাকে ওঁরা ১৫ জনের রান্না করে দিতে বলেছিল। কিন্তু মা দিতে পারেনি। জানিয়েছিল যে আমরা গরিব। আমাদের নিজেদেরই ভাত জোটে না। পরপর তিনদিন মায়ের কাছে খাবার চেয়ে পায়নি এঁরা। চতুর্থ দিনে মাকে পিটিয়ে মেরেই ফেললেন।

Advertisement

একে ৪৭ দিয়ে মাকে মারতে শুরু করেছিল ওঁরা। আমি যখন চিৎকার করলাম, তখন কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে পাশের ঘরে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারল। আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়েও গেল। এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জুলাই ফারিয়ার প্রদেশে।

Advertisement

সেখানে তালিবান সংগঠন তরফ থেকে বারবার নারীদের পড়াশােনা ও অন্য অধিকার। পাইয়ে দেওয়ার কথা বলছে। যেখানে নাজিয়ার মৃত্যুর পর প্রশ্ন, এই তালিবানকে বিশ্বাস করব? মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার ফলে আফগানিস্থানের বিভিন্ন প্রদেশ দখল নিচ্ছে তালিবান।

এই অবস্থাতে কিছু মহিলার দাবি, তালিবানি নিয়ম অনুযায়ী বােরখা মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক, অথচ অনেক মহিলাই বােরখা কেনার সময় পর্যন্ত পাননি। যদিও পরে তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, হিজাব পরলেই চলবে।

বােরখা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তালিবান যতই বলুক না কেন মেয়েরা অধিকার পাবেন। বাস্তব চিত্রটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। সেটা বর্তমানে উপলব্ধি করছে আফগান নারীরা।

Advertisement