নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার আগে ভারতে ছিল বন্দুকবাজ

কিছুদিন ভারতে কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডে ফেরার পরেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা চালিয়েছিল ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারন্ট।

Written by SNS New Delhi | December 10, 2020 2:33 pm

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ (Photo: IANS)

কিছুদিন ভারতে কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডে ফেরার পরেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা চালিয়েছিল ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারন্ট। শুধু ভারত নয়, বলা যায় সে রীতিমতাে ভরত ভ্রমণে বেরিয়েছিল। দুনিয়া ঘুরে ব্রেন্টন ফিরে গিয়েছিল তার নিজের দেশে। তারপরেই নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে নজিরবিহীন হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছিল সে। মঙ্গলবার সেই হামলার পূর্ণাঙ্গ রিপাের্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপাের্টে দাবি করা হয় ব্রেন্টন ভারতেই তিন মাস কাটিয়েছিল। কোথায় ছিল, কী করছিল, ভারত ভ্রমণের সঙ্গে এই নাশকতার যােগ রয়েছে কিনা তা নিয়ে হাজারাে প্রশ্ন রয়েছে। 

২০১৯ সালে এই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের গুলিতে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদ মিলিয়ে ৫১ জন মুসলিম প্রাণ হারান। নামাজের সময় অতর্কিতে এই হামলা চালানাে হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি হল নিউজিল্যান্ড। গত বছর ১৫ মার্চে সন্ত্রাসবাদী এই হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গােটা দেশটিকেই। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়ও ছিলেন। বন্দুকবাজের এলােপাথাড়ি গুলিতে আহতের সংখ্যাও কম ছিল না। 

রয়্যাল কমিশন অব এনকোয়ারির ৭৯২ পাতার রিপাের্টে বলা হয়েছে, স্কুল ছাড়ার পর এই ৩০ বছরের আততায়ী একটি স্থানীয় জিমে ব্যক্তিগত ট্রেনার হিসাবে কাজ করেছে। ২০১২ সালে একটি চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত এটাই ছিল তাঁর রুজি। তারপর থেকে আর কোনও বাধাধরা চাকরি করেনি ব্রেন্টন। বাবার থেকে নেওয়া অর্থ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়ােগ করে সে আয়ের পথ করে নেয়। ২০১৩ সালে সে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া দর্শনে বের হয়। তার আগে ওই বছরই সে ভালাে করে ঘুরে দেখেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ভ্রমণ করে বেরিয়েছে সে।

রিপাের্টে দাবি করা হয় ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সর্বত্র একাই ঘুরেছে ব্রেন্টন। ব্যতিক্রম উত্তর কোরিয়া। একটি দলের শরিক হয়ে সে গিয়েছিল কিম জং উনের দেশে।

ঘটনার প্রায় ১৮ মাস পরে প্রকাশিত এই রিপাের্টে দেখা গিয়েছে ক্রাইস্টচার্চের ঘাতক ব্রেন্টন হ্যারিসন সবচেয়ে বেশি সময় কটিয়েছে ভারতেই। ঘুরেছে চিন, জাপান, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও। এক মাস বা তারও কিছু বেশি সময় ধর সে ছিল এই দেশগুলিতে। তবে তিন মাস সে ভরতে কী করছিল তার কোনও তথ্য ওই রিপাের্টে বিশদে বলা হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের সংবাদে বলা হয়েছে ভারতে থাকাকালীন কোনও চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে সে দেখা করেছিল বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।