গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের নিচে চাপা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরের নাম মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার, গাজার নেতজারিম করিডরের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুহান্নাদ ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। ওই সময় আকাশ থেকে ফেলা একটি বড় ত্রাণের বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয় এবং পরে মারা যায়।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন আশপাশের মানুষজন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুহান্নাদের ভাই তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন এবং তাদের বাবা হাসপাতালে ছেলের মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। মুহান্নাদের ভাই বলেন, ‘আমার ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল। ওর ওপর বাক্স পড়ে যায়। সীমান্ত দিয়ে সরাসরি ত্রাণ পাঠানো না গেলে আমাদের শিশুরা এভাবে মারা যাবে।’
Advertisement
রাষ্ট্রসঙ্ঘ বারবার সতর্ক করেছে, আকাশপথে ত্রাণ ফেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং ত্রাণ সঠিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছায় না। তারা গাজার স্থল সীমান্ত খুলে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে দেওয়ার জন্য ইজরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। গাজার সরকারি তথ্য দপ্তরের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে অন্তত ২৩ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
এছাড়াও, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল জানিয়েছে, গতকাল ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৪৭ জন মারা গিয়েছেন। অনেকেই তখন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টির কারণে আরও ১১ জন মারা গিয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জনই শিশু।
Advertisement



