পাকিস্তানে ফের তালিবানি হানা। আফগান সীমান্তে বিস্ফোরণে উড়ে গেল পাকিস্তানের পুলিশের গাড়ি। রক্তাক্ত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। ওয়ানা তহসিলের অন্তর্গত ঘনবসতিপূর্ণ রুস্তম বাজার এলাকায় ওই হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুলিশকর্মী। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১৫ জন। জখমদের মধ্যেও রয়েছেন দুই পুলিশকর্মী। বাকিরা সাধারণ নাগরিক।
জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর যোদ্ধারা আফগানিস্তান সীমান্তের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় পুলিশের গাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ডেপুটি পুলিশ সুপার ইমরানুল্লা জানান, টিটিপির বাহিনী রাস্তার ধারে বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল। সেখানে পুলিশের গাড়ি পৌঁছতেই রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
Advertisement
গত বছর পাক তালিবানশাসিত আফগানিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের ডেরায় পাক সেনার হানাদারির কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা। গত দেড় দশকে একাধিক অভিযান চালিয়েও তাদের বাগে আনতে পারেনি পাক সেনা। ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ চালিয়েছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।
Advertisement
প্রসঙ্গত, মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত টিটিপি গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। সেজন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে টিটিপি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক সরকারের শান্তিবৈঠক ভেস্তে যায়। তার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। জবাবে সেনা এবং অসামরিক নিশানার উপর হামলা চালাচ্ছে টিটিপি-ও। পাক সেনার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে বালোচিস্তানের নৌশকি জেলায় বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) হামলায় নিহত হয়েছিলেন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার রেশ কাটার আগেই ফের আঘাত এল খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে।
Advertisement



