সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনকে কার্যত ‘দেখনদারি’ বলে কটাক্ষ করলেন মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসান্ত। তাঁর মতে, এই সম্মেলনে যা প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে তা ততটা কার্যকরী নয়। পাশাপাশি, রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারত ও চিনের কড়া সমালোচনাও করেছেন তিনি।
সম্প্রতি চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসসিও-র রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলাদা ভাবে বৈঠকও হয়েছে। এই কূটনৈতিক মঞ্চকে আমেরিকা খুব গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত মিলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে।
Advertisement
এক সাক্ষাৎকারে বেসান্ত বলেন, ‘এসসিও একটি পুরনো মঞ্চ। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, কিন্তু এখানে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে ততটা ফলপ্রসূ কিছু হচ্ছে না।’ ভারত ও চিনের বিরুদ্ধে আরও কড়া মন্তব্য করে বেসান্ত বলেন, ‘ওরা খুব খারাপ কাজ করছে। ভারত ও চিন, উভয়েই রাশিয়াকে সমরাস্ত্রে ইন্ধন জোগাচ্ছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনা মানে তাদের যুদ্ধযন্ত্রকে সচল রাখা।’
Advertisement
তবে ভারতের প্রতি কিছুটা সহানুভূতির সুরও শোনা গিয়েছে তাঁর কথায়। বেসান্ত বলেন, ‘চিন ও রাশিয়ার তুলনায় ভারত আমাদের (আমেরিকার) মূল্যবোধের অনেক কাছাকাছি। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ।’ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও, ভারত-আমেরিকার মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা মিটে যাবে বলেই আশাবাদী মার্কিন রাজস্বসচিব। তাঁর কথায়, ‘দুই মহান দেশ একত্রে এই সমস্যার সমাধান করবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও বেসান্ত জানিয়েছিলেন, মে বা জুন মাসের মধ্যেই ভারত-আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারে বলে তিনি আশা করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনা এবং একাধিক বাণিজ্যিক ইস্যুতে আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারত, চিন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আমেরিকার কূটনৈতিক অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন আশাবাদী, ভারত ও আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক ভবিষ্যতে এই মতপার্থক্য অতিক্রম করতে পারবে।
Advertisement



