বিজ্ঞান-পরিবেশ বাঁচবে এবার ট্রাম্পের হারে খুশির জোয়ার

ট্রাম্প দেশের পরিবেশ ও আবহাওয়া নিয়েও ভাবিত ছিলেন না। শিল্পপতিদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সিকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রেখেছিলেন।

Written by SNS Washington | November 11, 2020 6:46 pm

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প (File Photo: IANS)

বিজ্ঞানবিরােধী মুখ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন ডােনাল্ড ট্রাম্প। তার হারে তাই খুশি একেবারেই গােপন করছে না বিজ্ঞানীমহল। জানুয়ারিতে জো বাইডেন হােয়াইট হাউসে পা রাখার পরে প্যারিস চুক্তিতে আমেরিকার ফিরে আসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া, সর্বোপরি করােনা নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকার আশা করছে মার্কিন নাগরিকদের একটা বড় অংশ। তবে বাইডেনকেও পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। বিলক্ষণ যানেন তারা। কারণ হাউড অব রিপ্রেজেনটেটিভে ট্রাম্পপন্থীরা চার বছর ধরে চলা নীতির পক্ষেই গলা ফাটাবেন। সদস্য সংখ্যার নিরিখে সে সুযােগ যথেষ্টই রয়েছে।

২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে আসা জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের পক্ষে বড় ধাক্কা ছিল। গরিব দেশগুলির কার্বন নিঃসরণ কমানাের ক্ষেত্রে মার্কিন অর্থ সাহায্য জরুরি। কিন্তু ট্রাম্প অন্য পথ ধরায় জলবায়ু নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের লড়াইটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আশার কথা, বাইডেন আগেই আশ্বাস দিয়েছেন-জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চুক্তিতে ফিরবে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ঠেকাতে, ক্লিন এনার্জির ব্যবহার বাড়াতে দুই ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার কথাও শুনিয়েছিলেন বাইডেন
-কমলা জুটি। এখন তারই বাবায়নের অপেক্ষা।

শুধু দেশের বাইরে নয়, ট্রাম্প দেশের পরিবেশ ও আবহাওয়া নিয়েও ভাবিত ছিলেন না। শিল্পপতিদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সিকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রেখেছিলেন।

এজেন্সির একটি শাখার প্রধানের দায়িত্ব সামলানাে টক্সিকোলজিস্ট ড্যান কোস্টা বলেছেন, ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানের ডিএনএ- র মিউটেশন ঘটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আশা করব এবার প্রতিষ্ঠানের সবাই স্বক্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না চেয়ে পদত্যাগ করেছিলেন ড্যান। তার মতাে বহু উদাহরণ রয়েছে।

বস্তুত আমেরিকার প্রায় সব বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে নিজের ছড়ি ঘুরিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সে সিডিসি হােক বা এফডিএ। দেশের প্রখ্যাত ইমিউনােলজিস্ট অ্যান্থনি ফাউচির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ভােটের প্রচারে তাকে ছুড়ে ফেলার দাবিও তােলেন ট্রাম্প সমর্থকরা।

প্রেসিডেন্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তারও সায় রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের বিজ্ঞানী অ্যাল্টা চ্যারাে আশাবাদী যে অবশেষে এই প্রতিষ্ঠনের কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের যােগ্যতামতাে কাজ করতে পারবেন। বিজ্ঞানীকৃল তাকিয়ে অর্থ বরাদ্দের দিকেও। ট্রাম্প যেখানে কাচি চালাতেই বরাবরই উদ্যত ছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শপথগ্রহণের পরেই হু’র সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে জোর দেবেন বাইডেন।