• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নিপ্রোতে রাশিয়ার নতুন সাফল্য, কুর্স্কে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় চাঞ্চল্য

রুশ সেনা সূত্রের দাবি, রবিবার ভোররাতে চালানো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ওই গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। সামরিক কৌশলে অঞ্চলটির গুরুত্ব রয়েছে বলেও দাবি করছে মস্কো।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ যেন থামছেই না। চার বছরের কাছাকাছি সময়ে পা রাখা এই সংঘাতে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন উত্তেজনা। সর্বশেষ ঘটনায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের নিপ্রো অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে রুশ বাহিনী। যদিও কিয়েভ প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

রুশ সেনা সূত্রের দাবি, রবিবার ভোররাতে চালানো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ওই গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। সামরিক কৌশলে অঞ্চলটির গুরুত্ব রয়েছে বলেও দাবি করছে মস্কো।

Advertisement

এদিকে, ইউক্রেন পাল্টা আঘাত হেনেছে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে। মস্কোর অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত একাধিক ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুর্স্কের একটি পরমাণু কেন্দ্রের ট্রান্সফর্মার। বিস্ফোরণে মুহূর্তের জন্য আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লেও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মস্কো আশ্বস্ত করেছে, তেজস্ক্রিয় বিকিরণ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে এবং কোনো বড় বিপদের আশঙ্কা নেই।

Advertisement

কুর্স্ক ছাড়াও রাশিয়ার বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে ক্রেমলিন। যদিও ইউক্রেন এ বিষয়ে চুপই রয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের ৯৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার পাঠানো ৭২টি ড্রোনের মধ্যে ৪৮টি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। এবার দুই নেতাকে মুখোমুখি বসানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, যদিও আলোচনার তারিখ ও স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে পুরো ক্রিমিয়া ও লুহানস্ক অঞ্চল, ডনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রয়েছে রুশ বাহিনীর হাতে। এছাড়া খারকিভ, সামি, মিকোলিভ এবং নিপ্রোপেট্রোভস্কের কিছু অঞ্চলও নিয়ন্ত্রণ করছে মস্কো।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব আরও শক্তিশালী হতে পারে। অন্যদিকে, পশ্চিমা সমর্থনে ইউক্রেনও পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।

Advertisement