• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

রীতি ভাঙছে কোয়াড, নভেম্বরের শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা অনিশ্চিত

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কোয়াড নতুন শক্তি লাভ করলেও, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাননি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সক্রিয় সামরিক চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর বার্ষিক শীর্ষবৈঠক এবার নাও হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। আগের বার্তায় ছিল, নভেম্বর ২০২৫-এ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের মতে, সেই আয়োজন কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে আমেরিকার ডেলাওয়ারে অনুষ্ঠিত কোয়াডের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস। বৈঠকের পর ভারতকে পরবর্তী আয়োজকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এখন তা কার্যত প্রশ্নবিদ্ধ। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে শুল্কসংঘাত এবং জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে কোয়াডের গতি মন্থর হয়েছে।

Advertisement

এক বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘মন্তব্য বা চূড়ান্ত বার্তা এখনও আসেনি। সময়ও খুবই সীমিত, ফলে নভেম্বরের মধ্যে শীর্ষবৈঠক আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

Advertisement

কোয়াড নিয়ে ট্রাম্পের অনাগ্রহের এক কারণ হতে পারে, গত বছর গঠিত সামরিক জোট ‘স্কোয়াড’। জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত ওই জোটে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, শুল্কযুদ্ধের কারণে দিল্লির প্রতি ট্রাম্পের ‘কৌশলগত আস্থা’ কমেছে, যা কোয়াডের ভবিষ্যতের জন্য বিপদ সঙ্কেত।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উদ্যোগে গঠিত হয় কোয়াড। তবে ২০০৮ সালে বারাক ওবামা প্রশাসনের সময়ে তার কার্যক্রম স্তিমিত হয়। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কোয়াড নতুন শক্তি লাভ করলেও, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাননি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত চার বছরে কোয়াডভুক্ত দেশগুলো নিরাপত্তার প্রশ্নে একক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের পদক্ষেপ সেই ঐক্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এবার শীর্ষবৈঠক না হলে কোয়াডের প্রথা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা-পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হবে।

Advertisement