• facebook
  • twitter
Tuesday, 15 July, 2025

বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৩৭টি শহর, গ্রেপ্তার ৪০০

মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল স্কট শেরম্যান জানিয়েছেন, ‘উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০।’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের। বিক্ষোভ দমন করতে এবার শহরের রাস্তায় আরও নিরাপত্তাকর্মী নামিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। টানা ৬ দিন ধরে বিক্ষোভের আঁচে তপ্ত হয়ে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে লস অ্যাঞ্জেলেস গত দুই রাত ধরে ‘নিরাপদ ও স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন ট্রাম্প। সুরক্ষার জন্য তাঁর এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে রাতেও কার্ফু জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন এলাকায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি রয়েছে কার্ফু। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই প্রস্তুত হয়ে যায় সেনা-পুলিশের দল। দিনভর শহরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর থমথমে ছিল বুধবারের রাত।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। লস অ্যাঞ্জেলেসের পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়ার অন্য শহরগুলিতেও বিক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, টেক্সাস, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বড় শহরেও অভিবাসন এবং শুল্ক দপ্তরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদী মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস। চলে লুটপাটও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামায় ট্রাম্প প্রশাসন। মোতায়েন করা হয় ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড। নৌবাহিনীরও প্রায় ৭০০ সদস্যকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা নামানো হয়েছে টেক্সাস প্রদেশেও।

মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল স্কট শেরম্যান জানিয়েছেন, ‘উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০।’ ইরাক এবং সিরিয়ায় এই মুহূর্তে যে পরিমাণ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই সংখ্যাটি তার থেকেও বেশি। প্রসঙ্গত, পেন্টাগনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ২ হাজার এবং ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।