মার্কিন কূটনীতির চাপে পড়েই পাকিস্তান অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল

Written by SNS March 18, 2019 8:21 am

অভিনন্দন বর্তমান (Photo: AFP)

দিল্লি, ১৭ মার্চ – চোখ এবং হাত বাঁধা অভিনন্দন বর্তমানের ছবি দেখে রীতিমতো বিরক্ত ছিল ভারত। শুধু তাই নয় এই ছবি দেখার পর ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শুধু এখানেই শেষ নয়, ছয়টি মিসাইল পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে নিজেদের প্রস্তুত করছিল ভারত। পাকিস্তানও বুঝতে পেরে পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। দু দেশের সম্পর্ক দ্রুত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, ইসলামাবাদের একাধিক সুত্রকে সামনে রেখে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, সম্পর্ক এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে মার্কিন কূটনীতি এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ না করলে দু পরমানু দেশের মধ্যে যুদ্ধ ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই সঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানের উদারতা নয়, মার্কিন চাপেই ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল ইমরান খানের সরকার। কারণ অভিনন্দনকে ফেরত পাঠানোর পরেই ভারত তাদের সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে আসে। নরম অবস্থান নেয় ভারত। যার পরিণতিতে এড়ানো যায় যুদ্ধ।

অভিনন্দন বর্তমানের চোখ এবং হাত বাঁধা ছবি দেখার পর কেমন ছিল পরিবেশ? এক্ষেত্রে রায়টার্সের দাবি, এই ভিডিও দেখার পর ভারতীয় কূটনৈতিক এবং সেনাবাহিনীতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের মাটিতে ছয়টি মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হবে। পাকিস্তানও পাল্টা হুমকি দেয় ভারত একটা মিসাইল ফেললে তারা তিনটি মিসাইল ফেলবে। পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বুঝতে পেরে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে আমেরিকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রায়টার্সের আরও দাবি, পাক সরকারের এক মন্ত্রী এবং পশ্চিমী এক কূটনৈতিক আলাদাভাবে নিশ্চিত করেছেন, যে ভারত অন্তত ছয়টি মিসাইল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে টার্গেট করে রেখেছিল। যদিও অজিত ডোভালের অফিসেই নিয়ে রায়টার্সকে কোনও মন্তব্য করেনি।