• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাক-আফগান সীমান্তে বাণিজ্যিক লেনদেনের ছাড়পত্র প্রত্যাহার পাকিস্তানের, পাক সেনাপ্রধানকে বার্তা টিটিপির

পাকিস্তানের দাবি, আফগানিস্তান এবং ভারতের  সাহায্য নিয়ে এই গোষ্ঠি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালায়

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পাক-আফগান সীমান্তে বাণিজ্যিক লেনদেনের ছাড়পত্র তুলে নিল পাকিস্তান। এই পদক্ষেপের ফলে  দুই দেশের মধ্যে পণ্যসামগ্রীর আদানপ্রদান আপাতত বন্ধ রয়েছে। এর ফলে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। সংঘর্ষবিরতি চললেও দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনও বজায় রয়েছে। এই অবস্থায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে হুঁশিয়ারি দিল। তারা মুনিরকে মুখোমুখি সংঘর্ষে নামতে আহ্বান জানিয়েছে।

টিটিপি পাকিস্তানে বহুদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, আফগানিস্তান এবং ভারতের  সাহায্য নিয়ে এই গোষ্ঠি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালায়। যদিও ভারত এবং আফগানিস্তান এই দাবি অস্বীকার করেছে। চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার সংঘর্ষের  পিছনেও ছিল টিটিপির হাত।

Advertisement

সম্প্রতি একটি ভিডিওবার্তায় টিটিপি-র  একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা আহমদ কাজিম পাক সেনাপ্রধানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । মুনিরের উদ্দেশে তিনিবলেছেন, ‘আপনি জওয়ানদের ভেড়ার মতো মরতে পাঠাচ্ছেন।  যদি সত্যিকারের মানুষ হয়ে থাকেন, তবে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান।’ গত ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিতে  জঙ্গি হামলায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।  ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে ওই হামলার দায় স্বীকার  করেছে টিটিপি।

Advertisement

পাকিস্তানের ফেডেরাল বোর্ড অফ রেভিনিউ (এফবিআর) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আফগানিস্তান সংলগ্ন তোরখাম, খারলাচি , আঙুর আড্ডা এবং গুলাম খান এলাকায় আমদানি ও রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর থেকে পাক-আফগান সীমানায়  বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ রয়েছে ।

এফবিআর দাবি করেছে যে, নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এফবিআর তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘নিরাপত্তার কারণে আমাদের অনেক কর্মীকে আপাতত সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দিতে হয়েছে। কয়েকজন মাত্র সীমান্তে রয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আমদানি-রপ্তানি শুরু করব।‘

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ থাকায় পাকিস্তানের অর্থনীতিও প্রভাবিত হয়েছে।   অনেকটা বেড়ে গিয়েছে শাক-সব্জি, ফলমূলের দাম। পাকিস্তানের বাজারে আপেল আসে মূলত  আফগানিস্তান থেকেই। পণ্যের লেনদেন বন্ধ থাকায় বাজারে জোগান কমছে। তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দাম।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে টমেটোর দাম বেড়ে হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬০০ টাকা কেজি। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে বছরে প্রায় ২৩০ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয় সবজি, টাটকা ফল, গম, চিনি, ধান, ওষুধ, দুগ্ধজাত সামগ্রী এবং মাংস। বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ থাকায় সীমান্তে প্রচুর পণ্য পড়ে থেকে  পচে নষ্ট হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে,।

Advertisement