• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ব্যর্থ শান্তি বৈঠক, পাক–আফগান সীমান্তে যুদ্ধের আশঙ্কা জোরালো

টানা আলোচনার পরেও এই ব্যর্থতা বার্তা দিচ্ছে যে, সীমান্তের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘর্ষের আকার নিতে পারে। তাতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকতে পারে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কাতারের দোহা, তুরস্কের ইস্তানবুলের পর এবার সৌদি আরবের রিয়াধেও ব্যর্থ হল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা। বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সাম্প্রতিক বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মিলল না। ফলে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য, ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে গত অক্টোবর থেকেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দোহায় প্রথম দফার শান্তি আলোচনায় বসেছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। প্রাথমিকভাবে আলোচনা সফল হওয়ার ইঙ্গিত মিললেও পরে ফের উত্তেজনা বাড়ে সীমান্ত অঞ্চলে।

Advertisement

তারপর ইস্তানবুলে তিন দফা সংঘর্ষবিরতি নিয়ে বৈঠক করেন পাক ও আফগান নেতারা। কিন্তু সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। ইস্তানবুলের বৈঠকের ব্যর্থতার পরই পাকিস্তানের তরফে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে।

Advertisement

এই প্রেক্ষাপটে রিয়াধের বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেখানেও আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। ঠিক কী কারণে রিয়াধের বৈঠক ভেস্তে গেল, তা নিয়ে কোনও দেশই এখনও মুখ খোলেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা আলোচনার পরেও এই ব্যর্থতা বার্তা দিচ্ছে যে, সীমান্তের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘর্ষের আকার নিতে পারে। তাতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকতে পারে।

তবে বৈঠক শেষে এক তালিবান প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে’ আফগানিস্তান আবারও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। যদিও সে ব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে নতুন করে স্পষ্ট কোনও বার্তা মেলেনি।

কার্যত ক্রমবর্ধমান সামরিক সংঘাত, ব্যর্থ কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং সীমান্তে উত্তেজনার আবহে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ বাড়ছে। আগামী দিনে কি সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান— এখন সেই প্রশ্নই সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

Advertisement