বাংলাদেশে আরও একজনের মৃত্যু, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা হলো ২, আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ জন।

Written by Basudeb Dhar Dhaka | March 22, 2020 6:04 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, শনিবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা হলো ২, আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ জন। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ সভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানা যায়। 

চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২২-২৩ মার্চ মুজিব্বর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামদি শনিবার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান জানিয়েছিলেন, অধিবেশনের দিন সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের যে কর্মসূচি ছিল, তা ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। সবার আগে দেশে এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। 

এ পর্যন্ত যে দু’জন মারা গেছেন তাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি। তবে নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেনি মন্ত্রণালয়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এখন রয়েছে ৫০ জন। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো ইন্সটিটিউট এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট এই নতুন দুটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। 

তিনি জানান, এই দু’টি হাসপাতাল যে কোনও সময় গ্রহণ করে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে পারব। কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য উত্তরার থার্ড ফেজে দিয়া বাড়ি এবং তাবলীগ জামায়াত যেখানে হয়, সেই জায়গাটি আমরা নিয়েছি এবং এই দুটি স্থান ব্যবস্থাপনা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এই দুটি স্থান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে যদি সেই ধরনের কোয়ারেন্টিন করতে হয়। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা যারা দিয়ে থাকেন, সেই ডাক্তার, নার্স এবং সেবাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গুরুতর রোগীদের জন্য ১০০টি আইসিইউ স্থাপন করা হবে, এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায় চারশ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এছাড়া চিনের উহান যেখান থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, সেখান থেকে বিশেষজ্ঞ দল আনা হবে।