নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শৰ্মা ওলি ভারতের তিনটি এলাকা নিজের দেশের মানচিত্রে স্থান দিয়ে সম্পর্ক তিক্ত করে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে দিল্লিকে নিশানা বানিয়ে এমাগত ভারত-বিরােধী বিবৃতিও দিয়েছেন তিনি। সেই ওলি এবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিলেন ভারত-বিরােধী বলে পরিচিত উপপ্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পােখরেলকে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের অভিমত, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে নেপালের পেছনে রয়েছে চিনের প্ররােচনা। উত্তর নেপালের একাংশ দখল করে ‘বন্ধু’ চিন-ই একাধিক বিল্ডিং তৈরি করে ফেলেছে। সম্প্রতি এই নিয়ে কাঠমাণ্ডুতে চিনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছে জনতা।
Advertisement
একদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, অন্যদিকে ঘরের মধ্যে চাপ ক্রমশ বাড়ছে বুঝতে পেরে উপপ্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দফতর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে উপপ্রধানমন্ত্রীর হাতে এখন আর কোনও দফতর নেই। তিনি দফতরবিহীন উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েই রইলেন। আগামী ৩ নভেম্বর নেপাল সফরে যাচ্ছেন ভারতের সেনাপ্রধান নারাভানে। তার আগে উপপ্রধানমন্ত্রীকে দফতরবিহীন করে মৈত্রীর বার্তা দিলেন ওলি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
লিপু লেক হয়ে মানব সরােবর পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে গত মে মাসে ভারত ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত শুরু হয়। এর পাশাপাশি ভারতের তিন এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেপালের পার্লামেন্টে নতুন মানচিত্র পাশ হয়। সেই এই নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান নারাভানে।
নেপালের এই কার্যকলাপের পেছনে চিনের মদত রয়েছে বলেও তিনি অভিযােগ করেন। নারাভানের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সেনার গাের্খা জওয়ানদের ক্ষেপিয়ে তােলার চেষ্টা করেন। এ প্রসঙ্গে সেই সময় ঈশ্বর পােখরেল মন্তব্য করেছিলেন, নারাভানের মন্তব্য নেপালিদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে।
এরপর আর গাের্খারা ভারতীয় সেনার উর্ধ্বতন অফিসারদের সম্মান করে না। কারণ ভারতের নিরাপত্তার জন্য গাের্খারাও প্রাণ দিয়েছেন। এই নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর দেখা গেল সেনাপ্রধান নারাভানের নেপাল সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী ওলি তাঁর দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীকে দফতরহীন করে নতুন বার্তা দিল ভারতকে।
Advertisement



