• facebook
  • twitter
Thursday, 22 May, 2025

বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মুজিবের ধানমন্ডির বাড়ি

বৃহস্পতিবার সকালেও বদলায়নি সেই ছবি।

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশের ধানমন্ডিতে রাত পেরিয়ে সকাল হল। বুধবার রাত থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে চলল তাণ্ডব। সেই তাণ্ডব অব্যাহত রইল বৃহস্পতিবারও। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে চালানো হল ভাঙচুর, বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবনের বিভিন্ন অংশ, ধুলোয় মিশে গেল সে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের কত সাক্ষ্য। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি ভাষণ দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হামলা ও ধ্বংসলীলা। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও মিউজিয়াম বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হওয়ার পর আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালেও বদলায়নি সেই ছবি।

বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন বলে জানান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্র লীগের তরফে এই খবর প্রচার করা হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসিনা-বিরোধীরা। বুধবার রাত থেকে ধানমন্ডিতে অশান্তি শুরু হয়। রাতেই তাঁরা ধানমন্ডিতে মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বাড়িতে ঢুকে তাঁরা ভাঙচুর শুরু করেন। এমনকি, বাড়ির একাংশে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার পর সারা রাত ধরে বাড়িতে চালানো হয় ধ্বংসলীলা।

বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয় ছ’তলা এই ভবন। ছ’তলা ভবনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জড়ানো জাদুঘরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেই জাদুঘরও ভাঙা শুরু হয়। ওই জাদুঘরে রাখা বহু মূল্যবান এবং দুষ্প্রাপ্য বই তুলে নিয়ে যান অনেকেই। অনেককে আবার রিকশা ডেকে বইয়ের বড় বড় কার্টন নিয়ে যেতে দেখা যায়। মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বই ছাড়াও ওই পরিবারের সদস্যদের লেখা বইও এই জাদুঘরের সংগ্রহে ছিল। বহু সাধারণ মানুষকে সেই বাড়ি থেকে ইঁট-কাঠ-পাথর তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যাঁরা এগুলি নিচ্ছেন, তাঁরা অধিকাংশই নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ। মূলত লোহা, কাঠ বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জনের জন্যই তাঁরা সেসব সংগ্রহ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ধানমন্ডিতে এই ছবি দেখা যায়। যদিও বাংলাদেশের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী কোনও বাহিনীকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।

হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তৃতার কথা সমাজ মাধ্যমে বুধবার প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি।
এরপর আটের পৃষ্ঠায়