• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জুকের‍বার্গের ‍বিতর্কিত মন্ত‍ব্যের জেরে ক্ষমা চাইল মেটা

নিশিকান্ত দু‍বে এক্স–এ লিখেছেন, ভারতীয় সংসদ এ‍বং সরকারের উপর ১৪০ কোটি মানুষের আশীর্‍বাদ এ‍বং জনসাধারণের ভরসা রয়েছে। মেটার ভারতীয় কর্তা ক্ষমা চেয়েছেন।

প্রতীকী চিত্র

মার্ক জুকেরবার্গের বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে ক্ষমা চাইল মেটা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মেটা প্রধানের বিতর্কিত মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই বুধবার মেটার তরফে ক্ষমা চেয়ে জানানো হয়, জুকেরবার্গ যে মন্তব্য করেছেন তা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।
 
তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি মেটা ইন্ডিয়ার সিইও মার্ক জুকেরবার্গ মন্তব্য করেছিলেন, ২০২৪–এর ভোটে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতা হারিয়েছে। এরপরই তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে গেরুয়া শিবিরের তরফে। মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি এ‍বং যোগাযোগ ‍বিষয়ক বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার জন্য কমিটি মেটা ইন্ডিয়ার কর্তাদের তলব করতে পারে। এর পরদিনই মেটা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে নিলেন।


মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। ভারতের মেটা ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠুকরাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মার্ক জুকেরবার্গের মন্তব্য- ২০২৪ এর নির্বাচনে অনেক দেশের ক্ষমতাসীন দল পুনর্নির্বাচিত হতে পারেনি, এই কথাটি কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সত্যি হয়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে নয়। আমরা এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। মেটা-র কাছে ভারত খ‍ুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। আমরা ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে ভালোবাসার ‍বন্ধনে থাকতে চাই।’

নিশিকান্ত দু‍বে এক্স–এ লিখেছেন, ভারতীয় সংসদ এ‍বং সরকারের উপর ১৪০ কোটি মানুষের আশীর্‍বাদ এ‍বং জনসাধারণের ভরসা রয়েছে। মেটার ভারতীয় কর্তা ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি লেথেন, এটি ভারতের সাধারণ নাগরিকদের জয়।

Advertisement

গত ১০ জানুয়ারি জো রোগানের জনপ্রিয় পডকাস্ট চ্যানেলে উপস্থিত হয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা তথা মেটা প্রধান মার্ক জুকেরবার্গ। মেটা প্রধান দাবি করেন, ২০২৪ সালে সারা পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে নির্বাচন হয়। প্রায় সর্বত্রই ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা হারিয়েছে। এর জন্য মুদ্রাস্ফীতি বা কোভিড মোকাবিলায় গৃহীত অর্থনৈতিক নীতির কারণে। সারা বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। মেটা প্রধানের এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘জুকেরবার্গ ভুল মন্তব্য করেছেন। এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।’ এরপর মঙ্গল‍বার নিশিকান্ত দু‍বে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। ‍বুধ‍বার মেটার তরফে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া হল।

Advertisement

Advertisement