লন্ডনের রাজপরিবারকে মেগান ‘লঘু’ করে দিয়েছে, অভিযোগ থমাস মার্কেলের

সমর্থন নয়, উল্টে মেয়ের সমালােচনায় মুখর হলেন থমাস মার্কেল। তিনি অভিযােগ করেন, মেগান মার্কেল তাঁর সাম্প্রতিক ঘােষণার দ্বারা রাজপরিবারকে লঘু করে দিয়েছেন।

Written by SNS London | January 20, 2020 4:04 pm

মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারি (Photo: Twitter/@KensingtonRoyal)

সমর্থন নয়, উল্টে মেয়ের সমালােচনায় মুখর হলেন থমাস মার্কেল। তিনি অভিযােগ করেন, মেগান মার্কেল তাঁর সাম্প্রতিক ঘােষণার দ্বারা রাজপরিবারকে লঘু করে দিয়েছেন। গ্রেট ব্রিটেনের রাজ পরিবার সর্বকালের সেরা রাজপরিবারগুলাের মধ্যে অন্যতম সেরা পরিবারতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান।

মেগানের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির বিয়ের পর রাজ পরিবারের তরফে মেগানের রাজপরিবারের অংশ হওয়ার পাশাপাশি রাজ পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে গুঢ় দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল। কিন্তু মেগান যাবতীয় কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। পাশাপাশি হতাশাজনক ঘটনা হল, মেগান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজপরিবারের সদস্য হতে পেরেও নিজেকে ধন্য মনে না করে অবজ্ঞা করতে শুরু করেছে।

সব মেয়ে লন্ডনের রাজ পরিবারের যুবরানি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন- মেগান তাদের সবার দেখা স্বপ্ন নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করতে পেরেছে, যুবরানি হয়েছে, কিন্তু এখন টাকা রােজগারের জন্য রাজপরিবারের সম্মান ও আভিজাত্যকে ধুলােয় মিশিয়ে দিয়ে জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের তরফে গতকাল ঘােষণা করা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে আর তাঁরা রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। তার পরে এক সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেলের বাবা থমাস মার্কেল বাকিংহাম প্যালেসের ঘােষণার কারণ হিসেবে মেগানকে নিশানা করেছেন।

বাকিংহাম প্যালেসের তরফে ঘােষণা করা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল ‘রয়্যাল হাইনেস’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না। পাশাপাশি নিজেদের জীবনযাপনের সমস্ত খরচ তাঁদের নিজেদেরকে বহন করতে হবে। রাজপরিবারের তরফে প্রথামতাে আর কোনওরকম অর্থ দেওয়া হবে না।

চলতি মাসের গােড়ায় হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল পরিবারের সকলের সঙ্গে পরামর্শ না করে রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘােষণা করার পর স্বভাবতই রাজপরিবারের সদস্য থেকে তামাম দুনিয়া অবাক হয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা ঘােষণা করেছিলেন, বেশিরভাগ সময় তাঁরা উত্তর আমেরিকায় থাকতে চান।