মার্কিন কংগ্রেসের জর্জিয়ার ১৪ নম্বর জেলার সাংসদ মর্জরি টেলর গ্রিন পদত্যাগের ঘোষণা করলেন। শুক্রবার নিজের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদের জেরে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তাঁর এই পদত্যাগে বিশেষ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে দাঁড়াল এবং শাসক রিপাবলিকান পার্টির অন্দরের গোষ্ঠীসংঘাত আরও তীব্র হতে পারে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
গ্রিন বলেন, ‘আমার আত্মসম্মান, পরিবারকে ভালবাসা এবং আমার জেলা যাতে ট্রাম্পের বিরাগের জেরে বিদ্বেষপূর্ণ লড়াইয়ের শিকার না হয়, সেই কারণেই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।’ তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘আমরা যে প্রেসিডেন্টের জন্য লড়েছি, তাঁর বিরুদ্ধেই যদি দাঁড়াতে হয়, তবে আমি সেই লড়াইয়ের অংশ হব না।’
Advertisement
মার্কিন কংগ্রেসে আসন শূন্য হলে অস্থায়ীভাবে কাউকে মনোনীত করার কোনও বিধান নেই। তাই তার আসনটির জন্য শীঘ্রই বিশেষ নির্বাচন হবে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত গ্রিন তাঁর বিতর্কিত মতাদর্শ দিয়ে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সমর্থকদের ভিতরে নিজস্ব জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে তিনি অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের তদন্ত-সংক্রান্ত নথি প্রকাশে চাপ সৃষ্টিকারী একটি বিলকে সমর্থন করেন। সেই বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির শুরু।
গ্রিন বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ এখন ‘অবাস্তব ও হাস্যকর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁর কটাক্ষ— ‘আমি কোনোভাবেই একটি ‘‘নির্যাতিত স্ত্রী’’র মতো থেকে কেবল ভালোর আশায় বেঁচে থাকতে রাজি নই।’
গত সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন যে, গ্রিন ‘নিজের পথ হারিয়েছেন’। এরপর থেকেই দুই পক্ষের দূরত্ব আর গোপন থাকেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পদত্যাগ গ্রিনের জন্য বড়সড় রাজনৈতিক কৌশলও হতে পারে। ২০২৮ সালে হয়তো রিপাবলিকান পার্টির ভবিষ্যৎ সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প থেকে আলাদা হয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ও জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতেই হয়তো এখনই স্বাধীন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত তাঁর।
Advertisement



