ড্রোন ব্যবহার করে হামাসের গোপন ডেরার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনই দাবি করল ইজরায়েল। এবিষয়ে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি সুড়ঙ্গ। গাজার খান ইউনুসের একটি হাসপাতালে এই ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা। দাবি করা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে সেই ফুটেজ নেওয়া হয়েছে! ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই সুড়ঙ্গ যে যে ভূগর্ভস্থ ঘরে গিয়ে পৌঁছিয়েছে, সেখানে হামাসের প্রচুর অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ঘর থেকে হামাস বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনা পরিচালনা করত বলে দাবি করা হয়েছে!
প্রসঙ্গত পূর্বেই ইজরায়েল একাধিকবার অভিযোগ করেছে, হামাস গাজার হাসপাতালগুলিকে নিজেদের ডেরা হিসাবে ব্যবহার করে। ইজরায়েলি সেনা আগেও এমন নানা সুড়ঙ্গ ও ভূগর্ভস্থ গোপন আস্তানার খবর প্রকাশ্যে এনেছে। এবার তেমনই এক নতুন সুড়ঙ্গপথের ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা দাবি করেছে, হামাস অনৈতিকভাবে গাজার হাসপাতালগুলিকে ব্যবহার করে চলেছে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করার জন্য। হামাসের এই পরিকল্পনা সাধারণ মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে নিন্দা করেছে ইজরায়েল।
সেই সঙ্গে শনিবার হামাস গোষ্ঠী দুই জন ‘মুজাহিদিন জঙ্গি’কে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা। তারা জানিয়েছে, আইডিএফ এবং আইএসএ-র যৌথ অভিযানে গাজার মুজাহিদিন সংগঠনের প্রধান আসাদ আবু শারাইয়া এবং মাহমুদ মুহাম্মদ হামিদের মৃত্যু হয়েছে। আইডিএফের দাবি, এই সন্ত্রাসবাদীরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় অনুপ্রবেশ করে। বিভিন্ন হত্যালীলার সঙ্গে তারা যুক্ত।
উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলছে। কিছুদিনের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সেই যুদ্ধবিরতি থেকে বেরিয়ে এসে ফের হামাসের উপর হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। এই সংঘর্ষের জেরে গাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এই সংঘর্ষের জেরে গাজা ভূখণ্ডে মানুষের মধ্যে এখন চরম অনাহার শুরু হয়েছে। রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে খাবারের জন্য। এদিকে আমেরিকা ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি।