ইরানের বিজ্ঞানীকে গুপ্তহত্যায় অভিযুক্ত ইজরায়েল, প্রতিশােধের হুমকি তেহরানের

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মােহসেন ফাখরিজাদেহের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

Written by SNS Tehran | November 30, 2020 4:59 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মােহসেন ফাখরিজাদেহের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তেহরান প্রদেশের দামাভান্দ এলাকার আবসাদ শহরে। এরপর এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে অভিযােগ জানিয়ে প্রতিশােধ নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমনকী এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার তাদের রয়েছে বলেও দাবি করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইরানের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মােহসেন ফাখরিজাদেহ ও তাঁর দেহরক্ষীদের নিয়ে একটি গাড়ি আসাদ শহর দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী গাড়িটিকে লক্ষ্য করে বােমা ছােড়ে। এরপরই ইরানীয় বােমার জনক নামে খ্যাত ওই পরিমাণু বিজ্ঞানী’র দেহরক্ষীদের সঙ্গে তাদের তুমুল গুলির লড়াই শুরু হয়। উভয়পক্ষের এই লড়াইয়ের ফলে গুরুতর জখম হন ফাখরিজাদেহ ও তাঁর এক দেহরক্ষী। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘােষণা করেন। 

এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এর পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযােগ করেন। ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারিফ। এভাবে হামলা চালিয়ে তাদের দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার করার ঘটনা কাপুরুষােচিত বলেও উল্লেখ করেন। নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রতিশােধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে তেহরান। তার জবাবে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হক ইরানকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও এই ঘটনার পর ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হােসেইন সালামি ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ বাকেরি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য সেই ফাখরিজাদেহকে হত্যার মূল্য চোকাতে হবে ইহুদিবাদী সরকারের ভাড়াটে জঙ্গিদের। এর চরম প্রতিশােধ নেবে তেহরান।