• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

২৬ সালেই শুভাংশুর পর মহাকাশে যাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল!

৪৮ বছর বয়সি অনিল দীর্ঘ দিন বায়ুসেনায় কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নাসায় যোগ দেন। ২০২১ সালে নাসার নভশ্চর হিসাবে নির্বাচিত হন অনিল।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয়দের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুভাংশুর পর এবার মহাকাশে পাড়ি দেবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল। তাঁর পুরো নাম অনিল মাধবন সমইলেঙ্কো মেনন। ২০২৬ সালের জুন মাসে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের ‘সয়ুজ এমএস-২৯’ মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ‘এক্সপিডিশন-৭৫’-এ ক্রু সদস্য এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন নাসার এই মহাকাশচারী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন পিওত্র দুব্রোভ এবং আনা কিকিনা নামে রসকসমসের আরও দুই মহাকাশচারী। ইতিমধ্যে সেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

কাজাখস্তানের বৈকানুর কসমোড্রোম থেকে উৎক্ষেপণের পর এই তিন নভশ্চরের লক্ষ্য আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন)। সেখানে তাঁরা আট মাস থেকে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ৪৮ বছর বয়সি অনিল দীর্ঘ দিন বায়ুসেনায় কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নাসায় যোগ দেন। ২০২১ সালে নাসার নভশ্চর হিসাবে নির্বাচিত হন অনিল। বর্তমানে তিনি স্পেসএক্সে প্রধান স্পেস অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১,০০০ ঘন্টারও বেশি আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা। ‘সয়ুজ টিএমএ-১৭এম’-এর ডেপুটি ক্রু সার্জন, সয়ুজ ‘টিএমএ-১৩এম’ এবং ‘সয়ুজ এমএস৬’-এর প্রাথমিক ক্রু সার্জন হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, আমেরিকার মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে জন্ম ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিলের। তিনি ইউক্রেন এবং ভারতীয় অভিবাসীদের সন্তান। মিনেসোটার সেন্ট পল অ্যাকাডেমি অ্যান্ড সামিট স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন অনিল। ১৯৯৫ সালে স্নাতক স্তরের ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরোবায়োলজিতে স্নাতক হন ১৯৯৯ সালে। ২০০৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি অর্জন করেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এর পর মেডিক্যাল ডিগ্রিও অর্জন করেন ২০০৬ সালে স্ট্যানফোর্ড মেডিক্যাল স্কুল থেকে। স্ট্যানফোর্ডে জরুরি চিকিৎসায় রেসিডেন্টশিপ শেষ করেন ২০০৯ সালে। ওয়াইল্ডারনেস মেডিসিনে ২০১০ সালে  ফেলোশিপ পান।

Advertisement