• facebook
  • twitter
Saturday, 5 October, 2024

রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের 

রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে তুলোধনা করলেন ভারতীয় কূটনীতিক ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বিতর্কপর্ব চলাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তাঁকে এক হাত নেন ভাবিকা। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে৷ ভারতও এই জঙ্গি হামলার সম্মুখীন হচ্ছে৷ এই অবস্থায় ভারত চুপ করে বসে থাকবে না৷ পাকিস্তানকে 'জঙ্গিপ্রবণ, কালো টাকা ও মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্য' বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। 

রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে তুলোধনা করলেন ভারতীয় কূটনীতিক ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বিতর্কপর্ব চলাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তাঁকে এক হাত নেন ভাবিকা। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে৷ ভারতও এই জঙ্গি হামলার সম্মুখীন হচ্ছে৷ এই অবস্থায় ভারত চুপ করে বসে থাকবে না৷ পাকিস্তানকে ‘জঙ্গিপ্রবণ, কালো টাকা ও মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্য’ বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। 

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে তাঁর বক্তৃতায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর ২০ মিনিটের বক্তৃতায় কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভারতকে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে৷কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করতে হবে৷ শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দেওয়া  পারস্পরিক আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ওদের নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনো এবং আজাদ কাশ্মীরের দখল নেওয়ার হুমকি।’ 
 
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন ভাবিকা।তাঁর কড়া জবাব, ‘দুঃখজনক যে, এদিন সকালে সাধারণ সভা একটা উপহাসের সাক্ষী থাকল৷ একটা দেশ যা সামরিক শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়, যে দেশ বিশ্বে তার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য, মাদকদ্রব্য পাচার, আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য বিখ্যাত৷ সেই দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রকে আক্রমণের ঔদ্ধত্য দেখায়৷’  তিনি বলেন, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা ওসামা বিন লাদেনের মতো ত্রাস সৃষ্টিকারী জঙ্গিনেতাকে আশ্রয় দিয়েছে। 
 
ভাবিকা তাঁর বক্তৃতায় ২০০১ সালে সংসদে হামলার কথা বলেন৷ ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷ ভাবিকা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে হাতিয়ার করেছে৷ তারা আমাদের সংসদে হামলা চালিয়েছে, বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে আক্রমণ করেছে, এমনকী তীর্থস্থানের যাত্রপথগুলিও বাদ যায়নি৷ এই তালিকা অনেক দীর্ঘ৷ এরকম একটা দেশ যখন হিংসা নিয়ে কথা বলে, তখন সেটা ভণ্ডামি ছাড়া কী হতে পারে !’
ভারত জানায়, ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হলে তার উত্তর পাকিস্তানকে পেতেই হবে৷ তিনি বলেন, ‘এটা হাস্যকর যে, ১৯৭১ সালে এই দেশটাই গণহত্যার মতো অপরাধ করেছে৷ এমনকী এখনও ওই দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলে৷ তারা অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলার সাহস পায় কোথা থেকে ?’

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় উপস্থিত আন্তর্জাতিক দেশগুলির উপস্থিতিতে এই ভাষাতেই পাকিস্তানকে জবাব দেন ভাবিকা৷ তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে কত সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় পাকিস্তানে ছাপ রয়েছে। সত্যি এটাই যে, পাকিস্তান আমাদের এলাকা দখল করে রয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে ঝামেলা সৃষ্টির জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ জম্মু-কাশ্মীর অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ বিষয়টি কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷কিন্তু সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও আপস নয়।’ 

পাকিস্তানের কূটনীতিক জবাবে জানায়, ভারতের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর৷ অন্যদিকে ভারতের প্রতিনিধির স্পষ্ট জবাব সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চললে তার ফল পেতেই হবে।