• facebook
  • twitter
Friday, 15 August, 2025

কাল রাতে তেহরান ছেড়েছি, এখন আজারবাইজান সীমান্তে

আমার ট্রাভেল এজেন্সি সাহায্য না করলে আমাকে বেশ বিপদেই পড়তে হতো। আমার টাকা-পয়সা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। তবে ওদের যাবতীয় খরচ আমি পরে দিয়ে দেব।

নিজস্ব গ্রাফিক্স চিত্র

ফাল্গুনী দে, আস্তারা ইরান-আজারবাইজান সীমান্ত

১৭ জুন— গতকাল রাতে তেহরান ছেড়েছি। এজন্য আমাদের ভারতীয় দূতাবাসের কোনও সাহায্য পাইনি, যদিও তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমি যে ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্যে ইরানের সর্বোচ্চ দামাভান্দ পর্বত অভিযানে গিয়েছিলাম, শেষ পর্যন্ত তাঁদের সাহায্যেই আমি গতকাল রাতে তেহরান ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। যেহেতু সব জায়গায় গাড়ির পেট্রল পাওয়া যাবে না, তাই বেশ কয়েক জায়গায় বিরতি নিতে হয়েছে। রাতে ছিলাম একটি মসজিদে। তেহরানের যা পরিস্থিতি, তাতে মনের মধ্যে কিছুটা ভয় তো ছিলই। সারারাত বোমের শব্দও শুনেছি।

প্রায় সাত ঘন্টা জার্নি শেষে আজ দুপুরের পর এসে পৌঁছেছি আস্তারা সীমান্তে। ইরানের উত্তরে এবং আজারবাইজানের দক্ষিণে এই সীমান্ত শহরটি ক্যাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত। এই সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টের মধ্যে দিয়ে যাত্রী ও পরিবহন পারাপার হয়। এই ক্রসিং পয়েন্টে এই মুহূর্তে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন। তাই সীমান্ত পেরোতে কত সময় লাগবে তা এখনও জানি না। তবে তেহরান থেকে যে বেরোতে পেরেছি, তাতে স্বস্তি বোধ করছি। আজারবাইজানে ঢুকতে গেলে সেখানকার ইমিগ্রেশন অফিসের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আমি অনলাইনে সে সব কাজ সেরে রেখেছি। তবে যতক্ষণ না সীমান্ত পেরোতে পারছি, ততক্ষণ এখানেই কাটাতে হবে।

আমার ট্রাভেল এজেন্সি সাহায্য না করলে আমাকে বেশ বিপদেই পড়তে হতো। আমার টাকা-পয়সা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। তবে ওদের যাবতীয় খরচ আমি পরে দিয়ে দেব। আস্তারা সীমান্তে অবশ্য থাকা ও খাওয়ার সমস্তরকম ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আজারবাইজানে ঢুকতে পারলে তবেই নিশ্চিন্ত বোধ করব। কয়েকটি রাত দুঃস্বপ্নের মতো কাটিয়েছি। তার হাত থেকে মুক্তি পাব এই অপেক্ষায় রয়েছি।

(প্রতিবেদক পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দক্ষিণ কলকাতার উইমেন্স ক্রিশ্চান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক। পর্বতারোহণ তাঁর নেশা।)