অ্যারামকো তৈল প্রকল্পে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার হুথি বিদ্রোহীদের

পৃথিবীর বৃহত্তম তৈল উত্তোলনকারী সংস্থার দুটি সংশােধনাগারে ড্রোণ হামলার ঘটনায় আগুন ধরে যায়— চারদিক ঘন কালাে ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

Written by SNS Dubai | September 15, 2019 2:45 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: IANS)

ফের ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের নিশানায় অ্যারামকো তৈল প্রকল্প- পূর্বাংশের আবকুয়েক ও খুরায়িস শহরে অ্যারামকোর দুটি তৈল সংশােধনাগারে ড্রোন হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের পরিমাণ জানা যায়নি। লক্ষ্যণীয়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ড্রোণ হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদ্রোহী গ্রুপ পরিচালিত আল-মাশিরা টেলিভিশন জানাচ্ছে, ‘সৌদি আরবের পূর্বাংশে আবকুয়েক ও খুরায়িস শহরে অ্যারামকোর দুটি তৈল সংশােধনাগারকে নিশানা করে হুথি বিদ্রোহীরা দশটি ড্রোণ পাঠিয়ে অপারেশন চালায়’।

পৃথিবীর বৃহত্তম তৈল উত্তোলনকারী সংস্থার দুটি সংশােধনাগারে ড্রোণ হামলার ঘটনায় আগুন ধরে যায়— চারদিক ঘন কালাে ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বেশ দূর থেকেও আকাশে কুন্ডলীকৃত ধোঁয়া দেখতে পাওয়া গেছে। নিরাপত্তারক্ষীরা কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘ইয়েমেনি বিদ্রোহীরা অ্যারামকো তৈল প্রকল্পে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইয়েমেন ও সৌদি আরবের সীমান্ত পেরিয়ে টানা কয়েকমাস ধরে লাগাতার ড্রোণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানাের জেরে এমনিতেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, তার মধ্যে নতুন করে অ্যারামকোর দুটি ইউনিটে ড্রোণ হামলা চালানাের জেরে আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে’।

পৃথিবীর বৃহত্তম তৈল প্রকল্প অ্যারামকোয় ড্রোণ হামলার ঘটনা থেকে স্পষ্ট। হুথি বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে মানবহীন ড্রোণের মতাে আধুনিকতম অস্ত্র। ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত– যাসৌদি আরবের তাে বটে, পৃথিবীর বৃহত্তম খনিজ তেল। রফতানি সংস্থা অ্যারামকোকেনিরাপত্তার দিক থেকে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে দাড় করিয়ে দিয়েছে। সৌদি প্রশাসনের তরফে জানানাে হয়েছে ‘ভােররাতে আবকুয়েক ও খুরাইশ শহরের অ্যারামকোর দুটি তৈল উত্তোলন ও সংশােধনাগারে ড্রোণ হামলা চালানাে হয়।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভাের চারটে থেকে আগুন নেভানাের চেষ্টা করেন- টানা কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার বেড়াজালকে আড়াল করে বিদ্রোহীদের পাঠানাে ড্রোণ কিভাবে হামলা চালাল তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানানাে হয়নি। পাশপাশি  তদন্তকারীরা এটাও বলেননি, ঘটনায় কতজন হতাহত। দুটি তৈল প্রকল্পে কি ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানাে হয়নি। তৈল সংশােধনাগার চত্বরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রকল্প চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি হুথি বিদ্রোহীরা সীমান্ত পারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানাের পাশাপাশি সৌদি বায়ুসেনা ঘাটি সহ কয়েকটি জায়গায় ড্রোণ হামলা চালিয়েছে। তারা পাল্টা দাবি করেছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলি লক্ষ্য করে বােমা হামলা চালাচ্ছে, তার জবাব দেওয়া হল। অ্যারামকোর সাইবাহ প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকরণ প্রকল্পে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা চালায়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। পাশাপাশি সৌদি আরবের পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছিল। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকদিন প্রকল্প বন্ধ রাখা হয়েছিল। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে সেনা পাঠানাের পর থেকে চার বছর ধরে সৌদি আরবের তৈল প্রকল্পগুলিকে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।