আজ শনিবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে ওসমান হাদির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। এদিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বাংলাদেশের ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদি’র শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল নামে। ঢাকার সংসদ ভবন ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়। শনিবার ভোর থেকেই জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার-সহ শহরের একাধিক সংবেদনশীল এলাকায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ নজরদারিতে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে চলছে কড়া তল্লাশি। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায় হাদি’র জানাজা হওয়ার কথা থাকায় সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। জানা গিয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক স্তরের ব্যারিকেড বসানো হয় এবং সন্দেহজনক গতিবিধির উপর নজর রাখতে বাড়ানো হয় সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ।
Advertisement
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ইবনে মিজান জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনও রকম গুজব বা উস্কানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানাজার সময় সাধারণ মানুষকে ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী না নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংসদ ভবনের আকাশসীমায় ড্রোন ও অননুমোদিত উড়ন্ত বস্তু নিষিদ্ধ করা হয়।
Advertisement
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে হাদি’র মৃত্যুকে ঘিরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয়। শেষকৃত্য ঘিরে যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, সে জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়, যাতে জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের যাতায়াতে সমস্যা না হয়।
শহরজুড়ে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শেষকৃত্য শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
Advertisement



