চিনের ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাস এসেছে, প্রচুর প্রমাণ আছে : মার্কিন বিদেশ সচিব

এবিসির একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পিও দাবি করেন, চিনের উহান প্রদেশের ল্যাবরেটরি থেকেই যে করোনাভাইরাস এসেছে, তার ভুরিভুরি প্রমাণ রয়েছে।

Written by SNS Washington | May 5, 2020 2:00 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায় তা নিয়ে ওয়াশিংটন-বেজিংয়ের কুটনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। রবিবার সে ব্যাপারে ফের চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পিও। এবিসির একটি অনুষ্ঠানে পম্পিও দাবি করেন, চিনের উহান প্রদেশের ল্যাবরেটরি থেকেই যে করোনাভাইরাস এসেছে, তার ভুরিভুরি প্রমাণ রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে করোনাভাইরাস নিয়ে বেজিংকে নিশানা করার ঘটনা এই প্রথম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিয়ে একাধিকবার শি জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে। এমনকি করোনাভাইরাসকে চাইনিজ ভাইরাস বলেও কটাক্ষ করেছিলেন ট্রাম্প। সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ফলে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ। মৃত্যু পৌঁছে গিয়েছে আড়াই লক্ষের কাছাকাছি।

গতবছরের শেষে থেকে চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। মার্কিন বিদেশসচিবের দাবি, চিনে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই তথ্য নির্লজ্জ ভাবে গোপন করেছে বেজিং।

সংবাদে প্রকাশ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের গুপ্তচরদের দায়িত্ব দিয়েছেন কোথা থেকে এই ভাইরাস এল তার উৎস খুঁজে বের করতে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বাদুড় জাতীয় কোনও প্রাণী থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে উহানের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে ভাইরাস।

আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা ছিলেন মাইক। এই ভাইরাস মানুষের দেহের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছে নাকি জেনেটিক্যালি ল্যাবে তৈরি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে যে মার্কিন গোয়েন্দারা কাজ করছেন এবিসি-র অনুষ্ঠানে তা মেনে নিয়েছেন বিদেশ সচিব।

সারা বিশ্বে সংক্রমণ ছড়ানোর ইতিহাস চিনের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তথ্য গোপন প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই আমলা বলেন, কমিউনিস্টদের সনাতনী কায়দায় তথ্য গোপন করছে বেজিং। করেই চলেছে।