‘চিনা ভাইরাস’ গোপন করেছিল কমিউনিস্ট পার্টি, এখন সামাল দিতে পারছে না!

করোনা আতঙ্কের আবহে চিন-মার্কিন তর্জা অব্যাহত। করোনাভাইরাসের জন্য সোজাসুজি চিনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Written by SNS Washington | March 20, 2020 4:31 pm

ডোনাল্ড ট্রাম্প (File Photo: Xinhua/Wang Shen/IANS)

নোভেল করোনাভাইরাস’এর প্রথম সংক্রমণ চিনেই, এবং সেটা সুকৌশলে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। এখন বিশ্বজোড়া মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভাইরাস, আর সামাল দিতে পারছে না তারা, সোজাসাপটা চিনকে বিধে বলল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। 

চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দাবি, সংক্রমণ যখন চিনেই মহামারীর পর্যায়ে যাচ্ছিল সে তথ্যও সঠিক ভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে জানায়নি চিন। বরং মিথ্যা তথ্য দিয়ে গোটা বিষয়টাকেই লঘু করে দেখাবার চেষ্টা হয়েছিল। ভাইরাসের সংক্রমণ যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সঙ্কটের পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তখন অন্যের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। 

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপদেষ্টাদের দাবি, এই মারণ ভাইরাসের চক্রান্ত চিনের কমিউনিস্ট পার্টির। সেদিক থেকে গোটা বিশ্বের নজর ঘোরাতে তারা চিন, হংকং’এর কিছু সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম ও চ্যানেলকে দোষারোপ করছে। এনএসসি জানিয়েছে, চিনের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল উহানের বাজার থেকেই প্রথম ছড়িয়েছে ওই ভাইরাস। 

ওয়াশিংটন পোস্টের সূত্র অনুযায়ী, প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি ওয়েই গুইক্সিয়ান উহানের সিফুড মার্কেটের একজন ডিলার। তাঁর ফ্লু ধরা পড়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সেই খবর সামনে আনেনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। ওই ব্যক্তির থেকেই গোটা বাজারে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। যে ব্যক্তিকে প্রথম সংক্রামিত বলে দেখানো হয়েছিল তার অনেক আগেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল উহানে। এই খবর জানতেন উহানের সেন্ট্রাল হাসপাতালের সেই হিরো ডাক্তার লি ওয়েনলিয়াছ। তিনি সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা হয়েছিল। আর সেটা করেছিল এই কমিউনিস্ট পার্টি। কারণ তারা এই ভাইরাসের ব্যাপারে আগে থেকেই জানত। 

ডাক্তার লি ওয়েনলিয়াঙ মুখ খুললে বিপদ হতে পারে ভেবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা হয়েছিল। 

করোনা আতঙ্কের আবহে চিন-মার্কিন তর্জা অব্যাহত। করোনাভাইরাসের জন্য সোজাসুজি চিনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট করে তিনি বলেছেন, বিশ্বে ত্রাস তৈরি করেছে যে মারণ ভাইরাস সেটা আসলে ‘চাইনিজ করোনাভাইরাস’। 

দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলছেই। কখনও আমেরিকা দাবি করছে নোভেল করোনাভাইরাস আসলে রাসায়নিক মারণাস্ত্র, ছড়িয়েছে চিন থেকেই, আবার কখনও আমেরিকার দাবি উড়িয়ে চিন সোজাসাপটা আঙুল তুলে বলছে মার্কিন সেনাদের থেকেই উহানে ছড়িয়েছিল ভাইরাস। 

চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের টুইট থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। লিজিয়ান দাবি করেছিলেন, মার্কিন সেনারাই উহানে বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এই মারুণ ভাইরাসের জীবাণু। সেখান থেকেই চিনারা আক্রান্ত হতে শুরু করেন, পরে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। 

সিজিয়ানের কথায়, গত বছর অক্টোবরে উত্মানে আয়োজিত সপ্তম মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমে যোগ দিয়েছিলেন আমেরিকার অন্তত ৩০০ জন সেনা অ্যাথলেট। তখনই তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ফ্লুতে আক্রান্ত হন। পরে কয়েকজনের মৃত্যুও ঘটে। তখন বলা হয়েছিল নিছক জ্বর বা সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সেনাদের। পরে জানা যায়, তাঁরা সকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।