ব্যর্থ চিনের ‘জিরো কোভিড’ নীতি, সংক্রমণের জেরে ‘গৃহবন্দি’ অন্তত ১৭ লক্ষ মানুষ

অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বে চিনই একমাত্র বড় দেশ যারা ‘জিরো কোভিড’ নীতি মেনে চলেছে। অর্থাৎ, করোনা ভাইরাসকে সমূলে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর বেজিং।

Written by SNS Beijing | July 4, 2022 5:37 pm

A municipal worker walks past a graffitti of a youth wearing a facemak during a government-imposed nationwide lockdown as a preventive measure against the COVID-19 coronavirus, in Mumbai on May 4, 2020. (Photo by INDRANIL MUKHERJEE / AFP)

 

ব্যর্থ চিনের ‘জিরো কোভিড’ নীতি। ২০২০ সাল থেকে লড়াই শুরু করলেও, কিছুতেই করোনা ভাইরাসকে বাগে আনতে পারছে না বেজিং এবার নতুন করে সংক্রমণের জেরে দেশটির আনহুই প্রদেশে কার্যত গৃহবন্দি অন্তত ১৭ লক্ষ মানুষ।

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার আনহুই প্রদেশে নতুন করে ৩০০ জন করোনা (Corona) আক্রান্ত হন।

তারপরই সংক্রমণ রুখতে ওই অঞ্চলের প্রায় ১৭ লক্ষ বাসিন্দাকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া ওই এলাকায় যানবাহনের চলাফেরা এবং প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বলে রাখা ভাল, অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বে চিনই একমাত্র বড় দেশ যারা ‘জিরো কোভিড’ নীতি মেনে চলেছে। অর্থাৎ, করোনা ভাইরাসকে সমূলে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর বেজিং।

শুধু তাই নয়, অন্যান্য দেশগুলি যখন লকডাউন তুলে দিয়েছে বা অনেকটাই ছাড় দিয়েছে, তখন চিন এখনও কড়া নিষেধাজ্ঞার পথেই হাঁটছে।

আনহুই প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সিশিয়ান ও লিংবি কাউন্টিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লক্ষ বাসিন্দাকে ঘরেই থাকতে বলা হয়েছে।

শুধুমাত্র কোভিড টেস্টের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রমণের জেরে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল সাংহাই ও বেজিং শহরে।

পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় চিনা অর্থনীতির দুই বৃহৎ কেন্দ্রে জারি বিধিনিষেধ আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের আনহুই প্রদেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারীর তাণ্ডবে যখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত ছিল, তখন সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল চিন (China)। কিন্তু এবার পরিস্থিতি যেন ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একের পর এক শহরে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।