ভিড়ে ঠাসা ফিলিপিন্সে কলেজের সমাবর্তনে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত অন্তত তিন

মেয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যা করতেই হামলা চালিয়েছিল আততায়ী।

Written by SNS Kolkata | July 25, 2022 10:57 pm

Gun point. (File Photo: IANS)

আমেরিকার রেশ যেন এসে পৌঁছলো ফিলিপিন্সে। এবার ফিলিপিন্সে বন্দুকবাজের হানায় প্রাণ হারালেন তিনজন। কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলাকালীন ভিড়ে ভরা সভাকক্ষে ঢুকে পড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বন্দুকবাজ।

জানা গিয়েছে, আহত অবস্থায় বন্দুকবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে দু’টি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই হামলা করা হয়েছিল।

রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলাতে। ম্যানিলার অন্যতম নামী ল কলেজ আতেনিও দে ম্যানিলায় এদিন ছিল সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বহুসংখক পড়ুয়ারা।

তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন লামিটান শহরের প্রাক্তন মেয়র রোজ ফুরিগে।

মেয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যা করতেই হামলা চালিয়েছিল আততায়ী।

সেই সঙ্গে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী এবং আরেক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির।

সভাকক্ষে গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীরা আততায়ীকে আটকাতে পালটা গুলি চালায় কিন্তু সে গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত হেফাজতে রয়েছে আততায়ী। জানা গিয়েছে, আততায়ী কট্টর ইসলামপন্থী নেতা আবু সায়াফের ঘনিষ্ঠ।

নানা অসামাজিক কাজের জন্য কুখ্যাত এই নেতা। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আততায়ীর কোনও আত্মীয় যোগ দেয়নি। তাই পুলিশ নিশ্চিত, পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র। ঘটনার বিশদ তদন্ত করে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার মতো ফিলিপিন্সেও আগ্নেয়াস্ত্র বেশ সহজলভ্য। পারমিট থাকলেই অস্ত্র রাখতে পারেন সাধারণ মানুষ।