• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভারত ও চিনের পাশে পুতিন, আমেরিকাকে কড়া বার্তা

এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে ভারত ও চিনের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে ভারত ও চিনের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘আপনারা ভারত কিংবা চিনের সঙ্গে এই ভাবে কথা বলতে পারেন না।’

চিন সফরে গিয়ে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেন পুতিন। সেখান থেকে বেজিংয়ে চিনের সামরিক মহড়ায় যোগ দেন তিনি। সফর শেষে এক সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির তীব্র সমালোচনা করে পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তিকে দমন করার চেষ্টা করছে।’

Advertisement

ভারত ও চিনকে রাশিয়ার ‘বন্ধু’ ও ‘কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যা ১৫০ কোটির কাছাকাছি। চিন একটি শক্তিশালী অর্থনীতি। এই দুই দেশের নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং আইন আছে। তাদের নেতৃত্বকে দুর্বল করার যে চেষ্টা চলছে, তা অগ্রহণযোগ্য।’ রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ঔপনিবেশিক আমল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আজকের বিশ্বে কোনও দেশের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে কথা বলা চলে না, বিশেষ করে যদি তারা আপনার অংশীদার হয়।’

Advertisement

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও রাশিয়ার অন্যতম প্রধান তেল ক্রেতা হওয়া সত্ত্বেও চিনের উপরে এই ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়নি। ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও একই হারে শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা।

ভারতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ভারতের বাণিজ্যনীতি নির্ধারিত হয়। এখনও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।’ এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

এই প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্টের বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। ভারত ও চিনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে আমেরিকাকে স্পষ্ট বার্তা দিল মস্কো।

Advertisement