• facebook
  • twitter
Monday, 8 December, 2025

মার্কিন নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে নির্দেশিকা আমেরিকার

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বাংলাদেশে সরকারি কাজে নিযুক্ত আমেরিকার সরকারি কর্মীদেরও আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করল আমেরিকা। বাংলাদেশে যাওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে। এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের উদাহরণ তুলেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও বিক্ষোভ বা রাজনৈতিক সমাবেশকে আপাতভাবে শান্তিপূর্ণ মনে হলেও মুহূর্তের মধ্যে সেখান থেকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশে ভিড়ের মধ্যে পকেটমারির হওয়ার বিষয়েও মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্য অপরাধের বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্ক করে ওই এলাকায় ভ্রমণ না-করার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে আমেরিকা।

আমেরিকা ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করলে তার নানা স্তরভেদ থাকে। এ ক্ষেত্রে ‘লেভেল থ্রি’ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর অর্থ, আমেরিকার নাগরিকদের সে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ‘লেভেল ফোর’ নির্দেশিকা জারি করেছে। এর অর্থ, সেই এলাকায় যেতে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। সাম্প্রদায়িক অশান্তি, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং আরও নানা নিরাপত্তাজনিত কারণে এই নির্দেশের কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে ওই নির্দেশিকায় বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি, নিগ্রহ এবং মাদক পাচারের মতো অপরাধ নিয়েও মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার কারণে বিদেশিদের নিশানা করার কোনও আভাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর।

Advertisement

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বাংলাদেশে সরকারি কাজে নিযুক্ত আমেরিকার সরকারি কর্মীদেরও আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজন না হলে ঢাকার দূতাবাস ছেড়ে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে যেতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট থেকে বলা হয়েছে, আমেরিকার সরকারের তরফে বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের আপৎকালীন পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে সীমিত ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে সেই পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যদিও কক্সবাজার বা সিলেট যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।

বাংলাদেশ জুড়ে অরাজকতার ছবি স্পষ্ট। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে খুনের ঘটনায় একাধিকবার উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। বারবার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারও হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি খুব সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আমেরিকার নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আগে মুখ খুলেছিলেন। এরপর ফের বাংলাদেশে ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতামূলক নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা।

Advertisement