গাজায় হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ যেন সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। যুদ্ধের কোনো নীতিই মানতে যে নারাজ ইসরায়েল তারই প্রমান পাওয়া গেল ফের গাজার স্কুলে ইজরায়েলের মর্টার হামলায়। যদিও নানা ভাবে এই যুদ্ধ থামানোর পথ খুঁজতে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তার কোনো পরোয়া না করেই ধ্বংসলীলায় মেতেছে হামাস-ইজরায়েল। তারই পরিণতি গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি ফৌজ। ফের সেখানকার একটি স্কুলে ভয়ংকর আঘাত হেনেছে ইজরায়েল! শনিবার সেই হামলায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ১০০ শরণার্থীর । এমনটাই দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে এই হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে তেল আভিভও। তাদের দাবি, গাজার ওই স্কুল আদতে হামাসের ঘাঁটি ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
গত ১০ মাস ধরে হামাস খতমের নাম গোটা গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইজরায়েল। অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তাঁরা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন গাজা শহরের আল শাহবার একটি স্কুলে বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েল। এই হামলায় প্রাণ গিয়েছে ১০০ জনের। আহত শতাধিক। টেলিগ্রামে এই ঘটনাকে ভয়ংকর ‘গণহত্যা’ বলে জানিয়েছেন গাজা ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মহম্মদ বাসাল।
Advertisement
গাজার প্রশাসন সূত্রে খবর, মর্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে আল শাহবার স্কুলে। পর পর মর্টার হামলায় স্কুলের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে পড়ে। আগুন ধরে যায় গোটা স্কুলে। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু শরণার্থী। এর আগে বৃহস্পতিবার গাজার আরও দুটি স্কুলে হামলা চালায় ইজরায়েলি ফৌজ। সেই দুটি হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন।
Advertisement
Advertisement



