• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বালুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে হত্যা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝোভ ও লরালাই জেলার সীমানায় সুর-ডাকাই এলাকায় চলন্ত বাস থামিয়ে জোর করে নামানো হয় একাধিক যাত্রীকে।

ফাইল ছবি।

বালুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে হত্যা

ইসলামাবাদ– পাকিস্তানের অশান্ত বালুচিস্তান প্রদেশ ফের রক্তাক্ত হল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝোভ ও লরালাই জেলার সীমানায় সুর-ডাকাই এলাকায় চলন্ত বাস থামিয়ে জোর করে নামানো হয় একাধিক যাত্রীকে। পরে অপহৃতদের মধ্যে ৯ জনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রশাসনের একাংশের ধারণা, এর সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের কোনও যোগ থাকতে পারে।

Advertisement

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বালুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানান, দু’টি বাস পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বাস থামিয়ে কয়েক জন যাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নিকটবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়। সরকারি আধিকারিক নাভিদ আলম জানান, প্রত্যেকটি দেহে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement

পাক-আফগান ও ইরান সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে স্বাধীনতাপন্থী বালুচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ। খনিজ-সমৃদ্ধ বালুচিস্তান থেকে সম্পদ লুটের অভিযোগ তুলে পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে বহু দিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছে বালুচ লিবারেশন আর্মি সহ একাধিক সংগঠন।

এই হামলা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে গত মার্চ মাসে বালুচিস্তানে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জাফর এক্সপ্রেস হামলার কথা। পেশোয়ারগামী ট্রেনটি মাশকাফ সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকার মুখে রেলপথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থামিয়ে দিয়েছিল বালুচ বিদ্রোহীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু হলে, ট্রেন থেমে যায়। ওই ট্রেনে ৪০০-রও বেশি যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাক সেনার জওয়ানও ছিলেন অনেকে। ঘটনায় প্রাণ হারান ২১ জন সাধারণ যাত্রী এবং চার সেনা।

সেনা অভিযানে নিহত হয় ৩৩ জন বিদ্রোহী বলে দাবি করেছিল পাক সরকার, যদিও সেই পরিসংখ্যান খারিজ করে বালুচ বিদ্রোহীরা। নতুন এই হামলার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বালুচিস্তান। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে। প্রশাসন জানিয়েছে, দোষীদের চিহ্নিত করতে চলছে জোরদার তদন্ত। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। ফলে তদন্তকারী সংস্থাও ধন্দে রয়েছে।

Advertisement