সুপার কাপ ফুটবলে শেষ চারে খেলতে গেলে অবশ্যই ইস্টবেঙ্গলকে জিততে হবে চেন্নাইয়েন এফসি’র বিরুদ্ধে। এটা মনে রাখতে হবে, গ্রুপ ‘এ’-র চ্যাম্পিয়ন দলই শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পাবে। অর্থাৎ মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলকে টিকে থাকতে হলে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। ইতিমধ্যেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাই এফসি হেরে যাওয়ায় তারা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। আর ইস্টবেঙ্গল বিদেশিহীন গোয়ার ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়। ইস্টবেঙ্গল বিদেশিদের প্রাধান্য দিয়ে দল গঠন করছে। কোচ অস্কার ব্রুজো যে পরিকল্পনায় গোয়ার মাঠে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিচ্ছেন সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই ভুল হচ্ছে।
এমনকি মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আক্রমণভাগের ফুটবলাররা সেইভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তবে, ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আসলে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে যাওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই লাল-হলুদ ব্রিগেড কিছুটা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। তারপরে প্রথম সাক্ষাৎকারে ডেম্পো দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছে। তার প্রধান কারণ হল প্রতিপক্ষকে হালকা চালে নেওয়া। পাশাপাশি গোলরক্ষক দেবজিতের ভুল সিদ্ধান্তে গোল রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে। মনে রাখতে হবে ভিন রাজ্যে গিয়ে খেলতে হচ্ছে কলকাতার দুই প্রধানকে। বাংলার ফুটবলের যে ধারাবাহিক সাফল্য তা প্রকাশ করতে না পারলে প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলাররা সবসময়ই চাপ সৃষ্টি করবে।
Advertisement
অন্যদিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস প্রথম ম্যাচেই জয়ের সুবাদে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। চেন্নাইয়েন এফসি’র বিরুদ্ধে দু’গোলে জিতলেও সবুজ-মেরুন ব্রিগেড সেইভাবে নজর কাড়তে পারেনি চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। খেলোয়াড়দের আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা যদি সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারেন, সেক্ষেত্রে বিপদ কিন্তু সামনে এসে ভিড় করবে। এদিকে ডেম্পোর বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। ডেম্পোর নতুন কোচ সমীর নায়েক চেষ্টা করছেন তরুণ ফুটবলারদের দিয়ে মোহনবাগানের মতো দলকে লড়াইয়ের মধ্যে রাখতে।
Advertisement
তাদের একটাই লক্ষ্য সুযোগ যদি কাজে লাগাতে পারে, তাহলে মোহনবাগানকেও চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে। যেহেতু ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেভাবে একটা পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে, সেই আত্মবিশ্বাসে মোহনবাগানকেও চাপে রাখার একটা পরিকল্পনা করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা দলের খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিয়েছেন ঘরের মাঠে গোয়ার ফুটবলাররা অনেক বেশি উজ্জীবিত ফুটবল খেলবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা খুব একটা সহজ হবে না। তাই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য অবশ্যই অঙ্ক কষে খেলতে হবে।
Advertisement



