ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ার পরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বিরাট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে অধিনায়ক সহ দলের সতীর্থ খেলোয়াড়দের সমালোচনা করা হয়েছিল। তখন থেকেই একটা ধারণা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল অধিনায়ককে আর রাখা হবে না। আবার প্রাক্তন অধিনায়ক বাবার আজমকেও শুধু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাই নয় নানা কটুক্তি শুনতে হয়েছিল। পাক ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলতে শুরু করেছিলেন নতুন করে অধিনায়ক পদে নিয়ে আসা হতে পারে এই বাবরকেই। কিন্তু প্রাক্তন ক্রিকেটাররা জোর গলায় বলতে থাকেন কোনওভাবেই বাবরকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। তাই অধিনায়কের দৌড়ে রয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। অনেকেই জানেন বাবরের প্রতি পাক বোর্ডের কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট। হয়ত সেই কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটর কোনও খেলায় বা চ্যাম্পিয়নস একদিনের ম্যাচে কোনও ভাবেই বাবরের নাম অধিনায়ক হিসাবে ভাবা হয়নি।
এমনকি পাকিস্তান দলের কোচ গ্যারি কারস্টেন সরাসরি অভিমত প্রকাশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের অধিনায়ক হবার মতো যোগ্যতা রাখেন রিজওয়ান। গত বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ার পরেই বাবর আজম অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি দেশে ফিরে যাওয়ার পরেও বাবরকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে লাগাতার ব্যর্থতা হবার পরেই পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তবুও টি-২০ বিশ্বকাপে বাবর আজমকে দলকে নেতৃত্ব দেবার দায়িত্ব দেওায় হয় এবং তিনি ব্যর্থ হন। এমনকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাবরের ব্যাট থেকে সেই অর্থে কোনও রান আসেনি।
Advertisement
তবে কি বাবরকে দলে রেখে বোঝা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে? আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন বাবর যদি এখনই বিয়ে করে নিতে পারে তাহলে মানসিক দিক থেকে কিছুটা প্রেরণা পেতে পারেন। এখনই মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারটা ফয়সালা করে নেওয়া উচিত। মানসিক দিক দিয়ে কোনও ব্যাপারে চাপের মধ্যে থাকলে কখনই ক্রিকেটে মন দেওয়া সম্ভব হয় না। বাবর আজম অবশ্যই বড় মাপের ক্রিকেটার। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। বাবর আজমকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।
Advertisement
Advertisement



