একটা সময় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ফুটবলারদের দাপট ছিল তুঙ্গে। পাশাপাশি এই জেলা থেকে বেশকিছু অ্যাথলিট আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন। কিন্তু সেইভাবে জেলার সাঁতারুরা জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য তুলে আনতে পারেননি। তবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ক্রীড়া সংস্থার নতুন সচিব নবাব ভট্টাচার্য আসার পরেই অন্যান্য খেলাগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ফসল হিসেবে দেখতে পাওয়া গেল, এবারের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় এই জেলার বারাসতের মেয়ে সানিথি মুখার্জি জুনিয়র জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগতভাবে তিনটি সোনা ও একটি রূপোর পদক তুলে নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় আমেদাবাদে। সানিথি ২০০, ১০০ ও ৫০ মিটার বাটারফ্লাইতে সোনা জিতেছে। আর ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে রূপোর পদক পেয়েছে। শুধু সানিথি নয় স্নিগ্ধা ঘোষ সিনিয়র জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ভুবনেশ্বরে ৫০ মিটিার বাটারফ্লাইয়ে রূপোর পদক তুলে নিয়ে জেলাকে গর্বিত করেছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে এই প্রথম উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় সাঁতারুরা কৃতিত্ব দেখালো।
সংস্থার সচিব নবাব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জেলার ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য এবার থেকে পদক জয়ীদের হাতে আর্থিক সম্মান তুলে দেওয়া হবে। যাঁরা সোনার পদক পাবেন তাঁদের ২৫,০০০, রূপোর পদক আনবে তাঁদের ২০,০০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান পাবে। জেলার স্তরে এই ধরনের প্রয়াস উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ক্রীড়া সংস্থা দেখিয়ে দিল। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সানিথির হাতে ৯৫,০০০ টাকা আর্থিক সম্মান হিসেবে চেক তুলে দেন অলিম্পিয়ান সাঁতারু সজন প্রকাশ। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সাঁতারু দলের প্রশিক্ষক প্রদীপ কুমার। অলিম্পিয়ান সাঁতারু সজন প্রসাদ বলেন, একটা সময় বাংলার ছেলেমেয়েরা জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় দারুন পারফরমেন্স করে নজর কেড়ে নিতেন। আমি চাইব আগামী দিনে এইরকম বাংলার সাফল্য তুলে ধরবে সানিথি ও স্নিগ্ধার মতো সাঁতারুরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফুটবলার ও কোচ লাল কমল ভৌমিক ও ফুটবলার মহম্মদ রফিক।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



