• facebook
  • twitter
Tuesday, 5 August, 2025

বেঙ্গালুরুর কাছে হারটা মেনে নিয়ে শ্রেয়স বললেন, যুদ্ধ এখনও বাকি

পাঞ্জাবকে যদি ফাইনালে খেলতে হয়, তাহলে দ্বিতীয় বাছাই পর্বের খেলায় জেতা ছাড়া কোনও পথ নেই। তাই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে শ্রেয়স আইয়ার ব্রিগেডকে।

শ্রেয়স আইয়ার। ফাইল চিত্র

আইপিএল ক্রিকেটে প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। এই ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে খুবই খারাপ অবস্থায় হারতে হয়েছে পাঞ্জাবকে। কিন্তু পাঞ্জাবের সাহসী অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেছেন, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে লড়াইতে হেরে গিয়েছি ঠিকই, কিন্তু এখনও যুদ্ধ বাকি রয়েছে। অপেক্ষায় থাকুন কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। এখনও আমাদের সুযোগ রয়েছে ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র তুলে নেওয়ার। এবারে অধিনায়ক শ্রেয়স বলেন, প্রথমে আমরা যে চিন্তাভাবনা নিয়ে লড়াইতে নামব ঠিক করেছিলাম, সেই লড়াই মাঠে ভেস্তে গেছে। আমরা খেলতেই পারিনি। মাত্র ১৪.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে যে দল আউট হয়ে যায়, সেখানে হাইভোল্টেজ ম্যাচে কিছু করার থাকে না বোলারদের। বোলাররা তবুও লড়াকু মনোভাব নিয়েই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হল না। বেঙ্গালুরু ৮ উইকেটে জয়লাভ করে ফাইনালে খেলার পথটাকে একেবারে পাকা করে নিয়েছে। আর ১০ ওভার বাকি থাকতেই বেঙ্গালুরু তাদের ম্যাচটা তাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়।

সেই কারণেই পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এই ম্যাচটার কথা ভুলে থাকতে চাইছেন। কিন্তু সাহসী শ্রেয়স ছেড়ে কথা বলতে চাইছেন না। এখনও সুযোগ রয়েছে। তাই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে যে ভুলগুলো হয়েছে, তা শুধরে নিয়ে পুরো দলটাকে নতুনভাবে খেলবেন বলে বিশ্বাস। অবশ্যই এই দিনটার কথা ভুলতে পারবেন না তিনি। পরিকল্পনায় হয়তো সেইভাবে কোনও ভুল ছিল না। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারা গেল না, এটাই দুঃখ বলে মনে করেন শ্রেয়স নিজেই। মাঠের বাইরে যেভাবে অঙ্ক কষা হয়েছিল, সেইভাবে খেলতে না পারায় পাঞ্জাবের এই পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। অধিনায়ক এই হারকে নিজের কাঁধে নিয়েছেন। সতীর্থ খেলোয়াড়দের কোনও দোষারোপ করেননি। এটাই তো একজন অধিনায়কের চরিত্র হওয়া উচিত। দল যদি হারে, সেখানে অন্য কাউকে দোষারোপ করে পার পাওয়া যায় না, তা বুঝিয়ে দিলেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক। শ্রেয়স আইয়ারের মতে, যেভাবে পাঞ্জাবের খেলোয়াড়দের প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয়েছে প্রথম থেকেই, সেখানেই হারটা উঁকি দিয়েছে। আমরা নিজেরাও বুঝতে পারিনি এমন হাল হবে আমাদের দলের। এই ধরনের উইকেটে আরও রান আসা উচিত ছিল। ব্যাটসম্যানরা যদি একটু সচেতন হতেন, নিশ্চয়ই এই ভাবনা থাকত। এটা মনে রাখতে হবে, আমরা প্রত্যেকেই পেশাদার। তাই কোনও অজুহাত দিয়ে সরে থাকা নয়, ভুল স্বীকার করতে হবে।

বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের কোনও খেলোয়াড় ৩০ রানের কোঠায় পৌঁছতে পারেননি। অনেকেই আশা করেছিলেন দুই ওপেনার প্রিয়াংশু ও প্রভসিমরণ ভালো রান উপহার দেবেন স্কোর বোর্ডে। কিন্তু তাঁরা পুরোপুরি ব্যর্থ। আবার শ্রেয়স আইয়ার যখন ব্যাট করতে আসেন, তখন সমর্থকরা ভেবেছিলেন, খেলার চেহারা বদলে দেবেন তিনি। তাই ধারাবাহিকভাবে তাঁর ব্যাট ভালো রান দিয়েছে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শ্রেয়সের ব্যাট খুব তাড়াতাড়ি থমকে গেল। তাঁর ব্যাট থেকে এল মাত্র ২ রান। নিজেও ভেঙে পড়েন তিনি। তবুও সতীর্থ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে উইকেটে পাঠালেও আসল লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি। স্টোয়নিসের ব্যাট থেকে ২৬ রান আসে। কিন্তু কিছু করণীয় ছিল না পাঞ্জাব দলের স্কোরবোর্ডকে উজ্জ্বল করতে। পাঞ্জাবের ১০১ রানের জবাবে বেঙ্গালুরু দল কোনওরকম বেগ পায়নি। ওপেনার হিসেবে বিরাট কোহলি খেলতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১২ রান। ফিল সল্ট প্রথম থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলে এসে ৫৬ রান করেন। দলের অধিনায়ক রজত পাটিদার ১৫ রান করে নটআউট থেকে যান। পাঞ্জাবের বোলারদের কাছে কিছু করণীয় ছিল না। তবুও চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি। শেষ পর্যন্ত হারের মুখেই পড়তে হয়েছে পাঞ্জাব দলকে।

পাঞ্জাবকে যদি ফাইনালে খেলতে হয়, তাহলে দ্বিতীয় বাছাই পর্বের খেলায় জেতা ছাড়া কোনও পথ নেই। তাই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে শ্রেয়স আইয়ার ব্রিগেডকে। এখনও যখন সুযোগ রয়েছে, তাহলে প্রত্যেককে আরও বেশি সাহসী ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সবারই লক্ষ্য থাকবে ফাইনাল খেলা। হয়তো সেই কারণেই পাঞ্জাবের অধিনায়ক জোর গলায় বলেছেন, যুদ্ধ এখনও বাকি।