• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সন্দীপ নন্দী

যে কারণে বিতর্ক তৈরি হয় দুই কোচের মধ্যে। তা চরম জায়গায় পৌঁছে যায়। সন্দীপ ক্ষমা চেয়েও প্রধান কোচের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাননি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আইএফএ শিল্ড ফাইনালের পরেই গৃহযুদ্ধ ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। সোমবার সুপার কাপ খেলতে ইস্টবেঙ্গল গোয়ায় উড়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়াতে প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজো গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নন্দীর উপর বেজায় চটে গিয়েছেন। তিনি বিমান বন্দরেই সন্দীপের উদ্দেশ্যে নানারকম কটুক্তি করেন খেলোয়াড়দের সামনে। তিনি বলতে থাকেন সন্দীপের জন্যই গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামাতে বাধ্য হয়েছিলাম।

যে কারণে বিতর্ক তৈরি হয় দুই কোচের মধ্যে। তা চরম জায়গায় পৌঁছে যায়। সন্দীপ ক্ষমা চেয়েও প্রধান কোচের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাননি। গোয়ার বিমান বন্দরে বসেই তিনি ম্যানেজমেন্টের কাছে মেল করে জানিয়ে দেন তাঁর পক্ষে গোলরক্ষক কোচের পদে থাকা সম্ভব নয়।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্দীপ নন্দী স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজো যেভাবে ক্লাবের সম্মান নষ্ট করছেন তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি ইস্টবেঙ্গলকে ধ্বংস করছেন। আমি একজন ভারতীয় বলে প্রধান কোচ যা খুশি বলে যাবেন তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমার তো মনে হয় ভারতীয় গোলরক্ষকদের তিনি অপমান করছেন। আমি নিজে দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের গোলরক্ষক হিসেবে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। বিদেশি কোচ বলে সারাক্ষণ তাঁর কাছে নত হয়ে থাকবো তা সম্ভব নয়। তিনি মনে করেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম কথা বলছি। গত সোমবারের আগে কেউকি প্রমাণ করতে পারবেন প্রধান কোচের বিরুদ্ধে আমি কোনও সমালোচনা করেছি। তবে এখন আমি জোর গলায় বলতে পারি তিনি একবার ভারত থেকে চলে গিয়ে বাংলাদেশের একটি দলের কোচ ছিলেন।

Advertisement

পরবর্তীতে তিনি আবার কোচ হিসাবে লাল হলুদ শিবিরে যোগ দেন। তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। জানা গিয়েছে ইমামি গ্রুপ, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, আইএফএ, প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের কাছে সন্দীপ নন্দী চিঠি পাঠাচ্ছেন।

Advertisement