বাঁ-হাতে বুড়াে আঙুলে চোট লাগার জন্য শিখর ধাওয়ানকে কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এমন অবস্থায় শিখর ধাওয়ানের পরিবর্তে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে মাঠে নামবেন লােকেশ রাহুল।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটা ভেস্তে যাওয়ায় নতুন ওপেনার লােকেশ রাহুল কেমন খেলবেন সেটা দেখে নেওয়া হয়নি। কিন্তু রবিবার পাকিস্তারে বিরুদ্ধে হাইভােল্টেজ ম্যাচেই নতুন ওপেনার লােকেশ রাহুলের অগ্নিপরীক্ষা সেটা সকলেই ধরে নিয়েছিল।
Advertisement
তবে, লােকেশ রাহুলকে দেখে সেভাবে মনেই হল না তিনি কোনও চাপের মধ্যে রয়েছেন। কাজের কাজটা বেশ ভালােভাবে করে গেলেন। এবং তাঁকে যে তৃতীয় ওপেনার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল একজন যােগ্য ক্রিকেটার হিসাবে সেটা বলাই বাহুল্য। আর তাঁর ছাপটা রেখে দিয়ে গেলেন লােকেশ রাহুল।
Advertisement
আটাত্তর বলে সাতান্ন রানের একটা নজর কাড়া যেমন ইনিংস খেললেন। ঠিক তেমনই রােহিতের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ১৩৬ রানের পার্টনারশিপও যােগ করে দেন। পাশাপাশি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেরা পার্টনারশিপ। এবং রোহিত-রাহুল ভেঙে দেন শচীন-সিধুর ৯০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। যেটা তাঁরা করেছিলেন বেঙ্গালুরুতে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে।
এদিকে বলে রাখা ভালাে, রােহিত শর্মা দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করলেন। এর আগে ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে বিরাট কোহলি প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন বিশ্বকাপের আসরে। শচীন তেন্ডুলকর ৯৮ রান করেছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে।
এক নজরে বিশ্বকাপের আসরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের একশাে রানের পার্টনারশিপের তালিকা (যেকোনাে উইকেটে)
- মহম্মদ কাইফ / শচীন তেন্ডুলকর (সেঞ্চুরিয়ন, ২০০৩) – ১০২ রান।
- শিখর ধাওয়ান / বিরাট কোহলি (অ্যাডিলেড, ২০১৫) – ১২৯ রান।
- বিরাট কোহলি / সুরেশ রায়না (অ্যাডিলেড, ২০১৫) – ১১০ রান।
- লোকেশ রাহুল / রােহিত শর্মা (ম্যানচেস্টর, ২০১৯) – ১৩৬ রান।
Advertisement



